পাহাড় কেটে সড়ক সংস্কার

কক্সবাজারে সড়ক সংস্কারকাজে দুটি পাহাড় কেটে বালি-মাটি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বজল আহমদ নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ১৫-২০ দিন ধরে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানারঘোনা ও দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে বালি-মাটি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পাহাড় দুটির অধিকাংশ কেটে ফেলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ের দখলদার মালিক ও ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নজরুল কনস্ট্রাকশন ও রহিমা এন্টারপ্রাইজের নামে কক্সবাজার সদর উপজেলার জানারঘোনা-ঘোনারপাড়া সড়ক এবং দক্ষিণ হাজিপাড়া খাদ্যগুদাম সড়ক সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার বজল আহমদ।

পাহাড় কাটার বিষয়ে ঠিকাদার বজল আহমদ বলেন, 'আমি সড়ক সংস্কারকাজে যে বালি ব্যবহার করছি তা শ্রমিকরা কোথা থেকে আনছে তা আমার দেখার বিষয় নয়, আমার কাজ হলো সড়ক সংস্কার করা। এ ছাড়া বালির উৎস হলো পাহাড়। সবাই তো এভাবেই করছে।'

এ প্রসঙ্গে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, 'এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে জানারঘোনা ও হাজিপাড়া এলাকায় পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।'

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ঝিলংজা বিটের বন কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, 'পাহাড় কাটার স্থানে গিয়ে খুঁটি দিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'

পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটি কক্সবাজারের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দাবি করা হচ্ছে। তারা একটি সাইন বোর্ডও স্থাপন করেছে। তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।'

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি। এরপর পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'