আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৭ পিএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম
ঢাকার আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হন শাহাদাত হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের হোতা আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৪, সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকা থেকে আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৩৫ বছরের আক্তার হোসেন ঢাকার আশুলিয়ার ভাদাইল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে খুন হওয়া ৩৮ বছর বয়সি শাহাদাত হোসেন স্থানীয় হাবিব খানের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আক্তারের কাছে শাহাদাত ধারের ৫ লাখ টাকা পেতেন। প্রায়ই টাকার জন্য চাপ দিতেন তিনি। চলতি বছরের ২৪ জুন দুপুরের দিকে টাকা ফেরত দেবেন বলে শাহাদাতকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নেন আক্তার। ভাদাইল তিন বন্ধুর মোড় এলাকায় গেলে শাহাদাতকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যান আক্তারসহ তার পাঁচ-ছয় সহযোগী।
লোহার রডের আঘাতে ভুক্তভোগীর মাথার খুলি ভেঙে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
এ ঘটনায় ২৭ জুন আশুলিয়া থানায় মামলা করেন শাহাদাতের স্ত্রী মোসা. মানসুরা আক্তার।
১৭ সেপ্টেম্বর ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে শাহাদাত মারা যান। পরে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
মানসুরা আক্তার জানান, তাদের পাঁচ ও দুই বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে সন্তানদের নিয়ে যেন অকূল সাগরে পড়েছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি। ছোট বাচ্চা দুটোর ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। শাহাদাত (স্বামী) ও আক্তার (অভিযুক্ত) দুজনে একসঙ্গেই চলাফেরা করত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তারা একসঙ্গে এলাকা থেকে ময়লা ফেলার ব্যবসাও করেছে। কিন্তু কী এমন হয়েছিল যে আমার স্বামীকে মারল; তা এখনও জানি না। আমরা এর বিচার চাই।’
শাহাদাতের বাবা হাবিব খান বলেন, ‘সেদিন আমার ছেলেকে মেরে আমাকে ও আমার শালাকে ডাক দিয়ে আক্তার বলেছিল আমার ছেলেকে মেরেছে। আমার মোবাইলটিও কেড়ে নিয়ে গেছিল। আমরা ওর শাস্তি চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, ‘র্যাব আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
র্যাব-৪, সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল আক্তার হোসেন। অবশেষে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে আক্তার।’