সিলেট অফিস
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪৫ পিএম
ফাইল ফটো
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের (এসজিএফএল) আওতাধীন কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। পরিত্যক্ত এই কূপ সংস্কারের পর বুধবার (২২ নভেম্বর) থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে এসজিএফএল। প্রথম দিনে এখান থেকে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ নভেম্বর কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপের নতুন লেয়ার (স্তর) থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পায় কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করে সরবরাহ করা হবে।
এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে সরকার দেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। ২০২৫ সালের মধ্যে কূপগুলোর খননকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অনুসন্ধান ও খননকাজ শেষে কূপগুলো থেকে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের মালিকানাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে তিনটি কূপে খননকাজ শেষ করে গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এবার আরেকটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হলো। উৎপাদনে যাওয়া কূপগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১। এ তিনটি কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিনয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটিসহ এসজিএফএলের আওতাধীন ১৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে বর্তমানে। এগুলো থেকে দৈনিক প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, কৈলাশটিলা-২ নম্বর কূপের একটি লেয়ার থেকে গ্যাস উত্তোলনের একপর্যায়ে পানি চলে আসে। ফলে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে সাময়িকভাবে কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে কূপটি পুনঃখনন শুরু হয়। খননের পর চলতি সপ্তাহেই কূপের অন্য লেয়ারগুলোতে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ৯ ও ১১ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। কোনো ধরনের সমস্যা না হলে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। এ ছাড়া ওই কূপে উত্তোলনযোগ্য আরও ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কৃত হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। সেগুলো হলো—হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।