কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম
সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ দুই ছেলের সন্ধানে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাহাউদ্দীন। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আশাখালী মোহনা থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায় রকমাতুল্লাহ নামের একটি ট্রলার। সেই ট্রলারে ছিল সাত মাঝিমাল্লা। সমুদ্রে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এ বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি। বুধবার (২২ নভেম্বর) এসে ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও সাত মাঝিমাল্লার সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজরা হলেন—পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি এলাকার কাজীকান্ধা গ্রামের বাহাউদ্দিনের ছেলে ওই ট্রলারের মাঝি তানমুন ও তানিম এবং কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা আবু সালেহ, হৃদয়, আ. সালাম, রহমাত ও রাজিব।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে তানমুন ও তানিমের সন্ধানে দিগবিদিক ছুটছেন তাদের বাবা বাহাউদ্দিন। খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা ও সুন্দরবনসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
ছেলেদের খোঁজে ক্লান্ত বাহাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জেলে, মাছ ধরে খাই। ছেলে দুটা নিখোঁজ। তাদের পাচ্ছি না। তারা ছাড়া পরিবারকে দেখার মতো কেউ নেই। ছোট ছেলেটির ঘরে তিন মাসের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। আর বড় ছেলেটির চার বছরের একটি ছেলে ও আট বছরের একটি মেয়ে আছে। কী বলব তাদের সামনে গিয়ে? সন্তানদের ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’
ট্রলারের মালিক মো. রকমাতুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, তখন ট্রলারটি তীরে ফিরছিল। হঠাৎ ঢেউয়ের কবলে পড়ে সমুদ্রে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাদের কাছ থেকে ফিরে আসা অন্য ট্রলার চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য ট্রলার পাঠাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছুই পায়নি। এরপর নৌ-পুলিশ, থানা-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছি। এখনও তাদের সন্ধানে সমুদ্র এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।’
নিজামপুর কোস্ট গার্ডের কন্টিজেন্টাল কমান্ডার এম বাদল মিয়া বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর পরই সাগরে নিখোঁজ থাকলে তাদের সন্ধানে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে– বিশেষ করে, নিজামপুর, রাঙ্গাবালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সুন্দরবন, মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকা ও গভীর সমুদ্রে অভিযান চালাচ্ছে।’