চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫৭ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৪ পিএম
চট্টগ্রামে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিস (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ-বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।’
এর আগে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সব গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহীদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের; যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সব বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।