× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বগুড়ার ৩টি আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির সাবেক নেতারা

বগুড়া অফিস

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৩ পিএম

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫২ পিএম

বাম থেকে মোহাম্মদ শোকরানা, সরকার বাদল ও বিউটি বেগম। ছবি : কোলাজ প্রবা

বাম থেকে মোহাম্মদ শোকরানা, সরকার বাদল ও বিউটি বেগম। ছবি : কোলাজ প্রবা

বগুড়ায় বিএনপির তিন সাবেক নেতা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তারা নির্বাচনে লড়ার কথা বললেও তাদের দলীয় প্রার্থী করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। এ বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়ে গেছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

বিএনপির সাবেক ওই নেতারা হলেনজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শোকরানা, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল এবং জেলা বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম।

এর মধ্যে মোহাম্মদ শোকরানা বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা) এবং সরকার বাদল বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সোমবার (২০ নভেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বিউটি বেগম নির্বাচন কার্যালয় থেকে ভোটার তালিকাসংক্রান্ত সিডি কিনেছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করবেন। 

বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, জেলার সাতটি আসনের মধ্যে বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট উপজেলা) ছাড়া বাকিগুলোর জন্য ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২১জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে বিএনপির ওই তিন নেতাও রয়েছেন।

সূত্রগুলো জানায়, বিএনপির সাবেক ওই নেতাদের মধ্যে সরকার বাদল ও বিউটি বেগম শনিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনএমের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে দলীয় প্রার্থিতার বিষয়ে তাদের  প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। এমনকি দলটির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ শোকরানার সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সরকার বাদল ও বিউটি বেগম সম্প্রতি ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিএনএম কার্যালয়ে যোগাযোগের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। আর মোহাম্মদ শোকরানার দাবি, বিএনএম নামে কোনো পার্টির নামই তিনি শোনেননি।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বিএনএমের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন মিলবে কি না, সে ব্যাপারে বিএনপির সাবেক নেতারা এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না। আর সে কারণে তারা আপাতত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সূত্রটি এ-ও বলছে যে, যেখানে বিএনএমের প্রার্থী থাকবে সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় প্রার্থী নাও রাখা হতে পারে।

বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শোকরানা ১৯৯৯ সালে তারেক রহমানের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে তিনি জেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং একপর্যায়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে তিনি বগুড়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। বগুড়ার তিন তারকা খচিত হোটেল নাজ গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী শোকরানা পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে ব্যর্থ হয়ে ২০১৯ সালে তিনি স্বেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

সরকার বাদল নব্বই দশকের শুরুতে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০৩ সালে তিনি বৃহত্তর সদর উপজেলা (বর্তমানে দুটি উপজেলা হয়েছে) বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান। সর্বশেষ ২০২২ সালে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা জানিয়েছিলেন, সরকার বাদলকে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এখন বিএনপির কেউ নন। 

বিউটি বেগম নিজ এলাকা শিবগঞ্জে দেড় দশক আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। একপর্যায়ে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিউটি বেগম ২০১৪ সালে দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। তবে ২০১৮ সালে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ওই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শোকরানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিএনপির জন্য অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আমাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে মনোয়ন দেওয়া হয়নি। এসব কারণে চার বছর আগে আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমার বয়স এখন ৭৪ বছর। এর পরের (ত্রয়োদশ সংসদ) নির্বাচন আসতে আসতে শারীকিভাবে সক্ষম থাকব কি না, জানি না। যেহেতু দলীয়ভাবে সম্ভব হলো না সেজন্য এবার (দ্বাদশ সংসদ) স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিএনপি এবার নেই সে কারণে সরকার হয়তো ভোটটা সুষ্ঠু করে দেখানোর চেষ্টা করবে।’ 

বিএনপির অপর দুই সাবেক নেতার মধ্যে সরকার বাদল বলেন, ‘আমি বিএনপিতে ছিলাম। ভবিষ্যতে থাকতে পারব কি না সেটা সময়ের ব্যাপার।’ 

বিএনএমের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে ওঠা গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমুল বিএনপি ও বিএনএম থেকে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।’ 

বিউটি বেগম দাবি করেছেন, তিনিও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমাকে হারানোর মতো কেউ নেই।’ বিএনএমের মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কত দলই তো কথা বলছে। দেখা যাক কী হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা