যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬ এএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলাম ও তার ছেলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসভবন। প্রবা ফটো
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলাম ও তার ছেলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসভবনে ১৮ নভেম্বর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আলামত পায়নি পুলিশ। এর আগেও একাধিকবার বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। ফলে এবার আর মামলা করতে যাওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তরিকুল ইসলামের বড় ছেলে শান্তনু ইসলাম সুমিত।
এ বিষয়ে সুমিত বলেন, শনিবার রাতে হামলার আগেও আমাদের বাসভবনে পাঁচবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নামায় অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে পৌঁছালে সেখানেও মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গত বছর ২৮ আগস্ট রাতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আবারও আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ছোট ভাই অনিন্দ্য ইসলামের বাড়িতে আরও তিন দফায় ককটেল হামলা করা হয়। কোনো ঘটনায়ই পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বোমা বিস্ফোরণের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে বোমা বিস্ফোরণের তেমন কোনো আলামত পাইনি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কেউ আতঙ্ক ছড়াতে কয়েকটি পটকা-বাজি ফুটিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির নেতা অনিন্দ্য ইসলামের বিরুদ্ধে যশোর থানায় চারটি মামলা হয়েছে। মামলায় আগাম জামিন নিতে না পারায় বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে আছেন। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবরের আগে যশোর, নড়াইল ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ৭ থেকে ৮টি মোটরসাইকেল করে বেশ কয়েকজন যশোর শহরের ঘোপ এলাকায় হেলমেট পরে তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের কারও মুখে মাস্ক, কারও মাথায় হেলমেট ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সিসিটিভির ফুটেজে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় তরিকুল ইসলামের স্ত্রী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন।