যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১৩ এএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১১:০৬ এএম
প্রতীকী ছবি
যশোরের শার্শায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩৪টি স্বর্ণের বার ‘আত্মসাৎকারী’ অপহৃত সুমন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কামাল হোসেন, অন্যতম সহযোগী সিরাজুল এজাজ ও ইসরাফিলকে গ্রেপ্তার করে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তিতে পরে বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনালের সামনে থেকে সুমনের মৃতদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার পাইপ ও প্লাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার কামাল হোসেন বেনাপোল বড় আচড়া গ্রামের এবং এজাজ ও ইসরাফিল বেনাপোল সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হাওয়ায় তদন্তভার দেওয়া হয় যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শামীম হোসেন, শফি আহম্মেদ রিয়েলদের সমন্বয়ে একটি টিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর আগেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুর ১২টায় তারা আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে কামাল, এজাজ ও ইসরাফিলকে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
এ নিয়ে ওমর ফারুক সুমন হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
১১ নভেম্বর ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩৪টি স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে অপহরণ করা হয় সুমনকে। সুমনের মা ফিরোজা বেগম ১২ নভেম্বর কয়েক দফায় শার্শা থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। ১৩ নভেম্বর ফিরোজা বেগম অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে বেনাপোল পোর্ট থানায় বেনাপোল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (বড় আচড়া) কাউন্সিলর মৃত আবদুর রশিদের ছেলে কামাল হোসেন, এজাজ রহমান, তরিকুল ইসলাম, পলাশ হোসেনসহ আট থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
১৬ নভেম্বর সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মাগুরা সদর থানা ও যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল যৌথভাবে মাগুরা থেকে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।