× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হতাশ তরমুজ চাষিরা

আগাম চাষের স্বপ্ন ডুবল দুর্যোগের পানিতে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২২ পিএম

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় আগাম তরমুজচাষিদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। আগাম তরমুজ বাজারে বিক্রি করবেন- এমন আশা নিয়েই ধারদেনা করে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মেরাওপাড়া ও চিংগুরিয়া গ্রামে চাষাবাদ শুরু করেন। জমিতে রিংবেরি, ড্রেন, থানা ও সার ওষুধ দিয়ে তৈরিও করেছিলেন। এমনকি বীজ রোপণের উপযোগীও করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু মিধিলির প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে তলিয়ে গেছে সব। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তরমুজ চাষিদের। 

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেই আগাম তরমুজের চাষ শুরু করেছিলেন কৃষকরা। এর মধ্যে লালুয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ শুরু হয় বলে জানান দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর লালুয়া লঞ্চঘাট থেকে মেরাওপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন কৃষকরা। বীজও রোপণ করেছিলেন অনেকে। সবকিছুই ছিল ঠিকঠাক। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মুহূর্তেই সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানিতে। পানিনিষ্কাশনসহ জমি তৈরিতে আবারও ব্যস্ত চাষিরা। তবে ধারদেনা শোধের দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। 

মেরাওপাড়া গ্রামের তরমুজচাষি সাঈদ হাওলাদার বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখ টাকায় অন্যের জমি লিজ নিয়ে প্রায় ১৯ একর জমিতে তরমুজের চাষ শুরু করেছিলাম। ২ কেজি ২০০ গ্রাম বীজ রোপণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রতি ১০০ গ্রাম বীজের দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা। সর্বশেষ জমি প্রস্তুত করতে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মিধিলির প্রভাবে তরমুজক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা দুষ্কর হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন চিংগুড়িয়া গ্রামের সম্রাট খান, শাহিন হাওলাদার, গিয়াস মোল্লাসহ অনেকে। 

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘তরমুজচাষিরা দুঃখের কথা জানালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। মিধিলির প্রভাবে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকার থেকে কোন বরাদ্দ এলে তাদের সহায়তা করা হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘মিধিলির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের ফিল্ড অফিসাররা মাঠে কাজ করছেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা