ঝালকাঠি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৪ পিএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫৪ পিএম
ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও তিন পৌর কাউন্সিলর, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আহত সৈয়দ মিলনের স্ত্রী মারিয়া ইয়াসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ঝালকাঠি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফ, ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম খান, ইউপি সদস্য মো. ফয়সাল বাবু, যুবলীগ নেতা খন্দকার ইয়াদ মোর্শেদ প্রিন্স, খোকন গাজী, মো. পরাগ, ছাত্রলীগ নেতা আলফি-শাহরুন শুভ, আব্দুল কাইয়ুম, আমিন হাওলাদার, আশিকুর রহমান শাওন, যুবলীগ কর্মী তুষার হাওলাদার, মাসুম সিকদার, ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ, মো. মিন্টু, মামুনুর রশীদ, রিয়াদ হোসেন, জাহাঙ্গীর ফরাজী, শামীম হোসেন, শফিকুল খান, হাসান মাহমুদ, রুম্মান শরীফ, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, শুভাশিষ সেন গুপ্ত, তাহের হোসেন শুভ, রাজু শরীফ, রমিজ হাওলাদার, মো. মাহাবুব, আলীম সরদার, রমিজ (২), মো. সাইফুল, রাকিব সরদার, মো. মিলন, বিএনপি কর্মী শাহীন ভুইয়া, সাজু ভুইয়া, রিপন ভুইয়া ও রাজু ভুইয়া। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে বিএনপির অবরোধ বিরোধী মোটরসাইকেল মহড়ার সময় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক দাবীদার সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ সাতজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঠিকাদারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলল হাফিজ আল মাহমুদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সৈয়দ মিলনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।