রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫১ পিএম
১ হাজার ২০০ বেডের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় তিন হাজার রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসাকর্মী ও রোগী উভয়কে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক রোগীকে বারান্দার মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই কিছুটা পরিবর্তন আসছে হাসপাতালটিতে। হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি ক্যাজুয়ালিটি সার্ভিস (ওসেক) শিগগির চালু হতে যাচ্ছে। এর জন্য স্ট্রাকচারাল প্ল্যান হয়ে গেছে। আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ওসেক চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ’বর্তমান ইমার্জেন্সি বিভাগে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে সেখান থেকে রোগীকে ডায়াগনস্টিক করা যায় না। এর জন্য আগে রোগীকে ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়। ওসেক চালু করা গেলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে ডায়াগনস্টিক করা সম্ভব হবে। রোগীকে ওয়ার্ডে প্রেরণের প্রয়োজন হবে না। ওসেকে রোগী আসার পর সেখান থেকেই সব ধরনের সেবা পাবে। ওসেকে থাকবেন একজন স্পেশালিস্ট, সার্জন, কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন, আইসিইউ, প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ। থাকবে ডায়াগনস্টিক টেস্টের জন্য পৃথক ল্যাবরেটরি ও ওষুধের ডিসপেন্সারি। আরও থাকবে ওটি (অপারেশন থিয়েটার) ফ্যাসিলিটিসহ তিনটি আইসিইউ বেড। পুরুষ ও নারী রোগীদের পর্যবেক্ষণে থাকবে পৃথক ওয়ার্ড। সর্বোপরি ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি ক্যাজুয়ালিটি সার্ভিসে থাকবে ২০ বেডের ফ্যাসিলিটি।’
পরিচালক জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। শেষ হতে সময় লাগবে ছয় মাস। এর পর ওসেকে নানা ধরনের ইকুইপমেন্ট সংযুক্ত করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। খরচ হবে পাঁচ কোটি টাকা। হাসপাতালে বর্তমানে যেসব চিকিৎসক আছেন তাদের মধ্য থেকে একটা অংশকে ওসেকে সংযুক্ত করা হবে। এর পরও যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এডহক ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
কম মূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কারণে হাসপাতালটি রোগীদের ভরসার স্থান। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার পাশাপাশি কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা ও রংপুর থেকেও প্রচুর সংখ্যক রোগী আসে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, রবিবার (১৯ নভেম্বর) হাসপাতালটিতে রোগী ছিল ২ হাজার ৭৭৯ জন। সকাল পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৯১৬ জন। ছাড়া পেয়েছে ৬২৬ জন। মারা গেছে ৪৪ জন। অপারেশন হয়েছে ১১৬ জনের। ধারণক্ষমতার চাইতে অতিরিক্ত রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭৯ জন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৫ হাজার ৬ জন রোগী।