ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২২ পিএম
নোয়াখালীতে ঘূণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। প্রবা ফটো
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে সড়কের বিভিন্ন অংশে গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহরে এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর জেলা শহরের ম্যাটসের পাশে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং যান চলাচল।
এ ছাড়াও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে যায়। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ। বিভিন্ন স্থানে জমির পাকা ধানও হেলে পড়েছে।
আবু বকর ছিদ্দিক নামের এক পথচারী বলেন, ‘গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নাই। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যুৎ বিভাগ যদি দ্রুত কাজ করে তাহলে আমরা বিদ্যুৎ পাবো।’
কেফায়েত হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের নোয়াখালীতে আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। সব ধান আমরা তুলতে পারি নাই। অনেক ধান হেলে পড়েছে। ফলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে।’
হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ সবুজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রায় ২০ শতাংশ আমন ধান হেলে পড়েছে। মাঠে থাকা শীতকালীন সবজির ও ক্ষতি হতে পারে। তবে আমরা এখনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাইনি। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।’
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রচুর বাতাস হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছে না। বাতাস কমলে আমরা সেসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, যেসব স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর তালিকা সংগ্রহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পেলে খুব শিগগিরই জানানো হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের ২৪ লাখ টাকা এবং ৪৭৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণের জন্য প্রস্তুত আছে। প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। এছাড়াও ১০২ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজ নিজ স্টেশনে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো ঘটনা জানাতে আমাদের হটলাইন নম্বর চালু আছে।’