ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩০ পিএম
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রবা ফটো
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই মহানগরীর আকবরশাহ এলাকার এক, দুই ও তিন নম্বর ঝিল এবং বিজয়নগরের পাহাড়ী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি সকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন সংস্থার সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ভার্চুয়ালি জরুরি সভা করেছেন। এতে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিতে প্রতিটি দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভায় মহানগরীর ১১৬টি সহ চট্টগ্রাম জেলার মোট ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে জেলা প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৩’জারি করা হয়েছে। বহির্নোঙরে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ আছে। বন্দরের জেটিতে থাকা ২২টি জাহাজকে নিরাপদ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সকাল থেকে জাহাজগুলো পর্যায়ক্রমে জেটি ত্যাগ করে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে জেটি ছেড়ে গেছে। এছাড়াও লাইটারেজ জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে চট্টগ্রামে শুক্রবার সকাল থেকে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফতাব আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কারণে সকাল থেকেই চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দুপুর ১২ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর ৬২ দশমিক ৮ লিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।