ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৫০ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ। ছবি : সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বন্দরের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট ৩’ জারিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের সিসিটি ও এনসিটিতে থাকা সবগুলো জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (মেরিন অ্যান্ড হারবার) কমোডর এম ফজলার রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ’ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট সিস্টেম আছে। সেই অনুযায়ী এখন নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। অ্যালার্ট-৩ অনুযায়ী যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্দরের এনসিটি ও সিসিটি জেটি থেকে সবগুলো জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে। কট্রোল রুম খুলে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।’
জেসিটি টার্মিনালে পণ্য খালাস স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ’জেসিটিতে চার-পাঁচটি বাল্ক জাহাজ আছে। সেগুলো থেকে পণ্য খালাস এখনও চলছে। এ ছাড়া এখনও বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে।‘
১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম স্তরের সতর্কতা বা অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করলে বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কসংকেত ৫, ৬ ও ৭-এর জন্য অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। আবহাওয়া অফিস মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০-এর ক্ষেত্রে, বন্দর সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট ৪ জারি করে।
সেই অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারির পর আজ সকালে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে বড় জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে এবং ছোট জাহাজ কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর পূর্ব পাশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পণ্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) সব কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলোকে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।