ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৭ পিএম
প্রবা ফটো
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপকূলীয় এ জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত ছিল। নদনদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট পানির উচ্চতা বেড়েছে। শরণখোলার গাবতলিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, গভীর সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বেশকিছু মাছ ধরার ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলার প্রভাবে এখন ৭ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্র শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৯২০ জন সিপিসি সদস্য এবং রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫০০ সদস্য উপকূলে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় নগদ ৯ লাখ টাকা, ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।