বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৯ পিএম
অপহরণের হুমকি দিয়ে টাকা চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে হুমকির পোস্টার টানানো হোতা রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে অপহরণের হুমকি দিয়ে টাকা চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে হুমকির পোস্টার টানানো হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বিষ্ণুপুর গ্রামে অভিযানে চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা। বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিউল ইসলামের কাছ থেকে চাঁদা দাবিকৃত চারটি পোস্টার, একটি ল্যাপটপ ও একটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল স্বীকার করেছে কিছু এলিট শ্রেণি ও ক্ষমতাধারী লোকজন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন ব্যাহত করছে। সমাজের মানুষ সামাজিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার জন্য রবিউল নিজেই বাড়ির দরজায় ও দেয়ালে পোস্টার লাগায়।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার রবিউল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হবে।
১ অক্টোবর বিষ্ণুপুর গ্রামের ৩০০-৪০০ ঘরের দেয়ালে পোস্টার লাগানো দেখা যায়। সেখানে লেখা, ’আসসালামু আলাইকুম, সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ৫০০০ টাকা ৬ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। না হলে ৭ তারিখ থেকে আপনাদের ছেলেমেয়ে হারায় গেলে আমার কোনো কিছু করার থাকবে না। আমি বা আমরা কে সেটা না খুঁজে আমি যা বলছি সেটা করার চেষ্টা করেন। তাহলে কিচ্ছু হবে না। অল্প কিছু টাকার জন্য বাচ্চাদের বিপদে ফেলবেন না। যদি ছেলেমেয়েদের মঙ্গল চান তাহলে লোয়া পুকুরে সোলার লাইটের সঙ্গে যে বক্স থাকবে নিজের টাকার সঙ্গে নাম কাগজে লিখে ওই বক্সে ফেলবেন। আর নিজের বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখুন। আমার এই কাগজ আপনি পড়ছেন, তাহলে মনে করেন আপনার ছেলেমেয়েকে তুলে আনতেও পারব। দয়া করে টাকাটা দিয়েন আমরা ছেলেগুলা ভালো না। ভালো থাকবেন ৬ তারিখ পর্যন্ত, আল্লাহ হাফেজ।’ এরপর ইংরেজিতে Shadow লেখা দেখা যায় পোস্টারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির দেয়ালে এমন পোস্টার লাগানো দেখে ভীত এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। পরে এ ঘটনায় পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মূল হোতাকে ধরতে অভিযান শুরু করে।