জমির বিরোধ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
জমি নিয়ে বিরোধে কাঁটাতার ও বাঁশের প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে জেলে পরিবারটিকে। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর বাউফলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কাছে বসতবাড়ির জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় মারধর ও হামলা করে একটি জেলে পবিরারকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া বাড়িটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কাঁটাতার ও বাঁশের প্রাচীর দিয়ে। প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবারটি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে।
প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। তবে ইউএনও বলছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে কচুয়া গ্রামে ২৬ শতাংশ জমি কেনেন জেলে মো. নান্নু প্যাদা ও মো. ইয়ানুর বেগম দম্পতি। জমিতে ঘর তুলে সন্তাোদি নিয়ে বসত শুরু করেন তারা। তাদের বাড়ির পাশেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম টুকুর বাড়ি।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জেলে পরিবারের জমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করে আসছিলেন টুকু। জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে চাপ দেন ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা। পরিবার জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় মারধর ও নির্যাতন করেন তিনি। গত ২০২২ সালের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর জমি দখলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। প্রায় তিন মাস আগে কাঁটাতারের প্রাচীর দিয়ে ওই পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প পথ দিয়ে চলাচল করলে পুরো বাড়ির চারপাশ অবরুদ্ধ করে রাখেন টুকু ও তার লোকজন। মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় নান্নু ও ইয়ানুরকে। প্রাণের ভয়ে শৌলা ও দাশপাড়া গ্রামে আত্মীয়বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা। এখন কচুয়া গ্রামে ইয়ানুর তার বাবার বাড়িতে এক ছেলে ও স্বামী নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম টুকু বলেন, ‘ওই জমি আমার কাছে বিক্রি করার কথা ছিল। তারা বিক্রি করেনি। পাশের জমি তো আমার। তাই আমার জমিতে আমি বেড়া দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি (এসি ল্যান্ড) সরেজমিনে তদন্ত করে এসেছেন। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’