বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২২ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২২ পিএম
বাগেরহাটের ভৈরব নদের তীরে নতুন করে নির্মিত বেড়িবাঁধ। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের ভৈরব নদের তীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়েছে। এতে জোয়ার-ভাটার পানি ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। এখন আর কৃষিজমি, মাছের ঘের ও লবণাক্তে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে জানান বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাট শহরের ঠিক উল্টো পাশে ভৈরব নদের তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমি, মাছের ঘেরসহ বসতবাড়িতে জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এতে নানা ভোগান্তিতে পড়ত সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া, মেরতা, বৈটপুরসহ কমপক্ষে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা। শিক্ষার্থীরাও সময়মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারত না। দীর্ঘদিন পর হলেও ভৈরব নদের তীরে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এমনকি লবণাক্ত পানির প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় ধানসহ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিয়ামুল মোল্লা বলেন, ‘দড়াটানা ব্রিজ থেকে সুলতানপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদের পাড়ে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ ছিল। প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হতো। বর্তমানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
বৈটপুর এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুল মোল্লা বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় লবণাক্তের কারণে এলাকার ফসলি জমি অনাবাদি থাকত। নদের পাড়ের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়ত। জোয়ারের পানির চাপে মৎস্য ঘের ভেঙে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গরু, ছাগলসহ গৃহপলিত পশু লালন-পালন করতে সমস্যা হতো। বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ায় এসব দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।’
এলাকাবাসীর সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান বাগেরহাট পউবোর সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই এলাকাবাসীর সহায়তায় নতুন বাঁধটি নির্মাণে কোনো বেগ পেতে হয়নি। যথাসময়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেয়েছে। একটি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় জরুরি ভিত্তিতে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে।’