রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৭ পিএম
এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষ থেকে নামিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু কয়েক দিন আগে তাফকিফ আল তৌহিদকে নবাব আবদুল লতিফ হলের দায়িত্ব দেন। তিনি ওই হলের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী। সোমবার রাত ৮টায় তৌহিদ এক জুনিয়র কর্মীকে হলে আসন দেয়ার জন্য নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিবেক সাহাকে হলের ৩২২ নম্বর কক্ষ থেকে থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় বিবেক সাহাকে বের করতে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকারের অনুসারী।
বিষয়টি নিয়ে তৌহিদ ও শামীমের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা হয়। এ সময় শামীম ও তার নেতা-কর্মীরা হলে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের শতাধিক অনুসারী হলের সামনে জড়ো হয়ে মহড়া দেন। এ সময় তাদের হাতে বাঁশ, লোহার রড ও পাইপ দেখা যায়। একপর্যায়ে শামীমের অনুসারীরা হলের ভেতরে এবং সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা হলের বাইরে অবস্থান নেয়।
উত্তেজনা চলাকালীন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হির-গালিব রাত ১২ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দেড় ঘন্টার আলোচনা শেষে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান। এসময় সকলকে শান্ত থাকার নির্দেশনা দিয়ে যায় তারা।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম হোসেনের সমর্থনে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা হওয়া সত্ত্বেও তারা হলে এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে হাসনাইন মুত্ত্বাকি বলেন, আমরা শুনেছি বিনোদপুরে শিবির ককটেল ফাটিয়েছে। তাই ওইদিকে গেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন একটা ইস্যু হয়েছে বলে জানতে পারি, তাই সেখানে যাই। পরে চলে এসেছি। আমাদের কেউ ডাকেনি।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, হলে সিট নিয়ে ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এখন কোন সমস্যা নাই।