খুলনা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:১৫ পিএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৩:১৯ পিএম
কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভাঙন। ছবি: প্রবা
খুলনায় কয়রায় জোয়ারের পানির তোড়ে দুটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়রা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, ‘জোয়ারের পানির তোড়ে সোমবার দুপুরে কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলা ও গাতিরঘেরি এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। নোনা পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিবার মধ্যরাত থেকে দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
খুলনায় রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নদীগুলোর পানির চাপ বেড়েছে। সাতক্ষারীর আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধসে গেছে কয়রার হরিণখোলা বেড়িবাঁধ। এ অবস্থায় ফসল, ঘরবাড়ি সব নোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়া, আংটিহারা, ৪ নম্বর কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘কয়রার দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত করা হয়েছে। নদীতে পানির চাপ বাড়ছে।’
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এ দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত আরও ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপে ১১৮, বটিয়াঘাটায় ২৭, কয়রায় ১১৭, ডুমুরিয়ায় ২৫, পাইকগাছায় ৩২, তেরখাদায় ২২, রূপসায় ৩৯, ফুলতলায় ১৩ ও দিঘলিয়ায় ১৬টি।
প্রবা/রাই