বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:০৯ পিএম
বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা সংলগ্ন শহীদ খোকন পার্কে শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়। প্রবা ফটো
বগুড়ায় নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা সংলগ্ন শহীদ খোকন পার্কে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় বগুড়া ৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, ‘নানা জটিলতা শেষে বগুড়ায় নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে শিশুদের জন্য নাট্যশালা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা চেষ্টা করে যাব। আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকবে বিজয় দিবসে যেন আমরা নতুন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারি।’
বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আঙ্গিকে এখানে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।’
১৯৭৮ সালে বগুড়ার কারুশিল্পী প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল করিম দুলালের নকশায় শহীদ খোকন পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। মিনারের উপরিভাগে পশ্চিম পাশে ‘ক খ’ ও দক্ষিণ পাশে ‘অ’ ‘আ’ অক্ষর খোদায় করা ছিল। এ ছাড়া মিনারের পেছনে সুন্দর অর্থবহ ভাস্কর্য স্থাপন করা ছিল। পরবর্তীতে শহীদ মিনারটি ঘিরে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ মিনারটি ভেঙে ফেলে। পরে সেখানে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ব এ ন প ঢ’ অক্ষর সজ্জিত অদ্ভুত আকৃতির একটি মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এ ছাড়া সে সময় পার্কে সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হলে রাজনীতিবিদ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর থেকেই শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি তোলে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ।