চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে ফেরি কদম। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট দেখিয়ে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউএ)। ফেরি চলাচলের চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আর ফেরি চলাচল বন্ধের কারণ হিসেবে বিআইডব্লিউটিএর অবহেলাকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অপেক্ষমাণ থাকা বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও শ্রমিকসহ যাত্রীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিআইডব্লিউএর উদ্যোগে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধন থেকে দেড় মাসের অধিক সময় ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন পারাপার চলে আসছে। ইতোমধ্যে অজ্ঞাত কারণে বেগম সুফিয়া কামাল নামের ফেরিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ যথাযথভাবে চ্যানেল ড্রেজিং (খনন) না করায় ফেরি আটকে গিয়ে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ৩-৪ দিন ফেরি পারাপার বন্ধ ছিল। ড্রেজিংয়ের পর ফেরি চালুর ১০ দিনের মাথায় নাব্য সংকটের অজুহাতে গত শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তা বন্ধ রয়েছে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরি বন্ধ থাকায় ২০টির অধিক ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে। এতে পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ভূরুঙ্গামারী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক সোহেল মিয়া, বুড়িমারী থেকে আসা রবিউল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে আসা আকরাম হোসেনসহ অনেকে জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ২০টির মতো ট্রাক ফিরে গেছে। চালক সাইফুল ইসলাম জানান, ৫ দিন ধরে ঘাটে আছি, ফেরি না চলায় যেতেও পারছি না। হাতের টাকাও শেষ হয়েছে, কী করব ভেবে পাচ্ছি না।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘৩টি করে ট্রাক নিয়ে যেতেও ফেরি আটকে যাচ্ছে। চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় সাময়িকভাবে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং হয়ে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল করবে।’
চিলমারী বন্দরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ইমন বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে পারা যায় না, তারপরও সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’ নৌপথের দৈর্ঘ্য ২-৩ কিলোমিটার কমিয়ে নাব্য অনুযায়ী চ্যানেল নির্ধারণ ও ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।