× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিনির দাম বাড়াতে নতুন পাঁয়তারা

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চিনি আমদানিতে সরকার শুল্ক কমানোর পরও বাজারে কোনো প্রভাব পড়ছে না। উল্টো বাড়তে শুরু করেছে চিনির দাম। গত ১৫ দিন আগে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি যেখানে বিক্রি হয়েছিল ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায়, সেখানে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসাবে গত দুই সপ্তাহে পাইকারিতে কেজি প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি আমদানি কমেছে, তাই বাজারে সরবরাহ কমছে। তবে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চাহিদার তুলনায় আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় বেশি দাম আদায়ের জন্য সিন্ডিকেট করে চিনি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা।

দেশে প্রতি মাসে চিনির গড় চাহিদা প্রায় এক লাখ ৬৫ মেট্রিক টন। গত ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ছয় মাসের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন। সেই হিসাবে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার কথা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। মিল মালিকসহ আমদানিকারকরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে এই সংকট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এর নেপথ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধির অজুহাত। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দর কিছুটা বাড়তির দিকে কিন্তু বাড়তি দামের চিনি এখনও দেশে পৌঁছেনি। এ অবস্থায় আমদানিকারক ও মিল মালিকেরা ন্যূনতম দুই সপ্তাহ চিনির সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফলে বাজারে চিনির দাম দ্রুত বাড়ছে। 

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সরকার যখন দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন মিল মালিক ও চিনি আমদানিকারকদের এমন কৌশল সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। অথচ ভোক্তাদের সুবিধার্থে সরকার বাজারে দাম সহনীয় রাখতে গত ১ নভেম্বর থেকে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্ধেক শুল্কে চিনি আমদানি করা যাবে। আগে যেখানে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হতো, সেখানে এখন পরিশোধ করতে হবে এক হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে পরিশোধিত চিনি আমদানিতে আগে যেখানে শুল্ক দিতে হতো ৬ হাজার টাকা, এখন দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। 

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। তারা মিল মালিকদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ডিমান্ড অর্ডার (ডিও) কেনার পরও চিনি সরবরাহ পাচ্ছেন না। যে কারণে বাজারে চিনির সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। তাই দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তে থাকায় বেশি দাম আদায় করতে মিল মালিকরা চিনি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চিনি মজুদ করে রাখায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। 

তবে আমদানিকারকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এখন আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেশি। অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে চিনির দাম বাড়ছে। আর সরবরাহ কমে যাওয়ার পেছনে তারা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানিকারকরা ঠিক মতো চিনি আমদানি করতে পারছেন না। যে কারণে চিনি কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই মিল থেকে এখন চিনি সরবরাহ কমেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সরকার শুল্ক কমানোর পরও বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কী কারণে দাম বাড়ছে আমি বলতে পারছি না। তবে কোনো পণ্য হুট করে কেজিতে ৪/৫ টাকা বেড়ে যাওয়া উচিত না। সারা বিশ্বের কোনো দেশে একসঙ্গে কোনো পণ্যের দাম এত বাড়ে না। হুটহাট দাম বাড়ার মানে হচ্ছে বাজারে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অবৈধ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলব, ভোক্তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে মজুদদারি পরিহার করুন। কারণ ভোক্তা বাঁচলে ব্যবসায়ীরা বাঁচবে।’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে চিনির বাৎসরিক চাহিদা ১৯ লাখ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। মাসে গড় চাহিদা এক লাখ ৬০ হাজার টন থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার টন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক ১৯ লাখ চাহিদার বিপরীতে চলতি বছরের গত ছয় মাসে (১১ এপ্রিল থেকে ১১ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশে চিনি আমদানি হয়েছে ১১ লাখ ৩৪ হাজার টন। সেই হিসাবে গত ছয় মাসে গড়ে প্রতি মাসে চিনি আমদানি হয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার টন। অর্থাৎ গত ছয় মাসে চাহিদার তুলনায় বেশি চিনি আমদানি হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চিনি আমদানি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চিনি আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৫৪ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। সেই হিসাবে ওই ছয় মাসে গড়ে প্রতি মাসে চিনি আমদানি হয়েছে এক হাজার ৭৫ হাজার মেট্রিক টন করে। 

চাহিদার চেয়ে চলতি বছরের এই ছয় মাসে আমদানি বেশি হলেও এর প্রভাব পড়েনি দেশের বাজারে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জে গত দুই সপ্তাহ ধরে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। সিটি গ্রুপ, মেঘনা, দেশবন্ধু গ্রুপের চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৫ হাজার ৫০ টাকায়। অথচ ১৫ দিন আগেও ওই বাজারে সিটি, মেঘনা ও দেশবন্ধু গ্রুপের প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৭০০ টাকায়। 

আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করে। বাড়তে বাড়তে এপ্রিল মাসের শেষ দিকে গিয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায়। মার্কেট ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হয় ৫৯০ ডলারে। যেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ে ৬০ টাকা (এক ডলার সমান ১০৫ টাকা)। এরপর এক দিন পর এক দিন দাম ওঠানামা করে আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকভাবে চিনির দাম কমতে থাকে। আগস্ট মাসের শেষ দিকে এসে চিনির দাম অনেক কমে যায়।

২১ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হয় ৫০০ ডলারে। যেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ে ৫২ টাকা (এক ডলার সমান ১০৫ টাকা)। এরপর এখন আবারও চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকভাবে চিনির দাম বাড়ছে। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ ডলার থেকে ৬১০ ডলারে। যেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৬৮ টাকা থেকে ৭০ টাকায় (এক ডলার সমান ১১৫ টাকা)। 

বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত 

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ওই টাকায় আমদানি করা শুল্ককর পরিশোধ করার পর দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ভোগ্য পণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।

গত ৮ অক্টোবর ৫ হাজার ১৫০ টন চিনির শুল্কায়ন করে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। শুল্কায়ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই চিনিগুলো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৫৮ সেন্টস ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে। পরে কাস্টমস হাউস ৫৮ সেন্টস আমদানিমূল্য ধরে শুল্কায়ন করে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রতি ডলার ১১০ টাকা করে আমদানিমূল্য পরিশোধ করে। সেই হিসাবে আমদানি করা ওই চিনির দাম পড়ে ৬৪ টাকা। ৩৮ টাকা বিভিন্ন ধরনের শুল্ককর পরিশোধের পর ওই চিনির দাম পড়ে ১০২ টাকা। ওই চিনি এখন প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। 

চিনির দাম কেন বাড়ছে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের চিনি বিপণনের দায়িত্বে থাকা খাতুনগঞ্জের আরএম এন্টারপ্রাইজেরর কর্ণধার শাহেদুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে এখন চিনির দাম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে প্রতি টন বিক্রি হয়েছিল ৬০০ থেকে ৬১০ ডলারে। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৯০ থেকে ৭০০ ডলারে। অন্যদিকে চিনি আমদানিতে ডলার প্রতি এখন ১২৬ টাকার মতো খরচ পড়ছে। এসব কারণে এখন দেশের বাজারেও দাম বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের কারণে এখন একজন আমদানিকারক কয়েক লটে ভেঙে চিনির আমদানিমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। একজন আমদানিকারক একটি জাহাজে করে একসঙ্গে ৫০ হাজার টনের বেশি চিনি আমদানি করেন। ডলার সংকটের কারণে ওই চিনি ১০/১২ লটে ভেঙে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে হয়।

সবগুলো লটের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে না পারলে জাহাজ থেকে চিনি খালাস করা যায় না। সেজন্য জাহাজের অনেক টাকার পরিচালন ব্যয় বহন করতে হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এসব কারণে একদিকে চিনি আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। অন্যদিকে চিনি আমদানি কমেছে। তাই মিলে অপরিশোধিত চিনি সরবরাহ কমছে। পরিশোধন করার মতো চিনি না থাকায় মিল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহও কমছে।’ 

ঢাকায়ও বেড়েছে দাম

ঢাকার বাজারে বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম। প্যাকেটজাত চিনির দাম গায়ে ১৩৫ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে চিনির কেজি ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারস্থ জামাল ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী চিনি ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘কী কারণে চিনির দাম বাড়ছে তা কোম্পানির কর্মকর্তারা জানাচ্ছে না। আমি মেঘনা গ্রুপের চিনি বিক্রি করে থাকি। কোম্পানিটি জানিয়েছে এ মুহূর্তে চিনি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি, তা হচ্ছে চিনির দাম বাড়ানোর জন্যই হয়তো কোম্পানিগুলো এ অবস্থা সৃষ্টি করছে।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিনি আমদানিকারক এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, গত ১ নভেম্বর সরকার (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতি টনে শুল্ক কমিয়েছে দেড় হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে কমিয়েছে ৬ হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। অথচ এক কেজি চিনি কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক দিতে হয় ৪৩ টাকা। সে হিসাবে অপরিশোধিত চিনির প্রতি কেজিতে শুল্ক কমেছে দেড় টাকা ও পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে ৩ টাকা। যেখানে প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হয় ৪৩ টাকা সেখানে দেড় থেকে ৩ টাকা কমানো বড় কোনো কাজ? 

তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হতো ৬২০ ডলারে। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৬৮০ ডলার। তাহলে ব্যবসায়ীরা এসব টাকা কোথা থেকে আনবে? আর এলসি খুলতে গত বৃহস্পতিবারও প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ২৪ পয়সা দিতে হয়েছে। 

ওই আমদানিকারক বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব করেছি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৪৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা করতে। সরকার যদি অনুমতি দেয় তাহলে এটি করা সম্ভব। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা