গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০২ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৪ পিএম
গাজীপুরে ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবা ফটো
পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পরেও গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন।
এ সময় পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। গত ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন ও বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুরের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে। এদিকে শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জরুণ এলাকার মনিম নামে এক কারখানা শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের যে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলছিল, সেখানে পুলিশ এসে হামলা করেছে। একজন মহিলাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’
কোনাবাড়ি পপুলার হাসপাতাল ও কোনাবাড়ি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ‘একাধিক শ্রমিক আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এরমধ্যে জালাল উদ্দিন, মানিক, সাগর হোসেন, আলামিন নামে শ্রমিকদের নাম পাওয়া গেছে।’
কোনাবাড়ি ক্লিনিকের ইমারজেন্সি ডাক্তার অনিক বলেন, ‘বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে গুরুতর আহত এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকো গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আশরাফ উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, বেশ কয়েকটি কাটখানা শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। এছাড়া ভাংচুরের চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সকালে কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে সকালে সমস্যা হয়েছে। রির্জাবসহ গাজীপুরে ২২ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।