৩ সন্তানসহ নদীতে ঝাঁপ
শরীয়তপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৬ পিএম
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ বড় ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভোজেশ্বর বন্দর এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সালমা বেগম। এর আগে ঘটনার পরপরই দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম শাহ আবির। গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোজেশ্বর বাজার ব্রিজের কাছ থেকে কীর্তিনাশা নদীতে তিন সন্তান নিয়ে ঝাঁপ দেন সালমা বেগম। ঘটনার পরপরই ডায়াপার পরা অবস্থায় নদীতে ভাসতে দেখে আনিকা (৩) ও সোলেমান (১) নামে দুই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। কিন্তু নিখোঁজ ছিলেন সালমা বেগম ও তার সাত বছর বয়সের বড় ছেলে শাহ আবির। সালমা বেগম মাইজপাড়া এলাকার আজবাহার মাদবরের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নিখোঁজ শাহ আবিরের মরদেহ স্থানীয় জেলেদের জালে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে শিশু শাহ আবিরের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন গৃহবধূ সালমা বেগম। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, পারিবারিকভাবে ১০ বছর আগে আজবাহারের সঙ্গে বিয়ে হয় সালমার। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই পারিবারিক কলহের জেরে সালমা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে তিন সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।