সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০১ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৯ পিএম
ফরিদপুরের সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রডের রিং ছাড়াই রাতের আঁধারে বেজ, শর্ট কলম, গ্রেট বিম ও পিলার ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের রড, খোয়া ও বালি। অনিয়মের এই দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করে স্থানীয় লোকজন ফেসবুক পেজে পোস্ট করে প্রতিকার চেয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। এমন অবস্থায় কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৪ মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে আফরিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। চার মাস আগে তারা কাজ শুরু করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. খায়রুল বাসার বলেন, ‘আমাদের উপস্থিতিতে কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের লোকজন তা করেনি। আমরা যখন উপস্থিত থাকি, তখন তাদের কাজের গতি থাকে কম। আর আমরা সরে গেলেই কাজের গতি বেড়ে যায়। তারা রাতের আঁধারে রড কম ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই কাজ করে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মিঠু বলেন, ‘কাজটি আরও দেড় বছর আগে পেয়েছি। আগের রেটে কাজটি হওয়ায় লাভ হবে না। তাই রাজবাড়ীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে কাজে অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি।’ এ সময় নিউজ না করার অনুরোধ করেন তিনি।
খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন ফরিদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সামচুদ্দিন তালুকদার। তিনি নির্মাণ করা গ্রেট বিম ও পিলার ভেঙে অনিয়মের সত্যতা পান। সামচুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর এখানে এসে দেখলাম, ঠিকাদার রাতের অন্ধকারে কাজ করেছে। কাজের বিষয় অবগত করেনি। ভেঙে ফেলে নতুনভাবে সীমানাপ্রাচীর করা হবে।’
উপজেলা ইউএনও মো. আনিচুর রহমান বালি বলেন, বিষয়টি জানার পর কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন পাঠানো হবে।