বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৫৪ এএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়িতে মধ্যরাতে আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়ার পর তোলা। প্রবা ফটো
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কেজি স্কুল গেইটের পাশে মকসুদ রহমানের মার্কেটে আগুন লেগে সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- রহিম উদ্দীনের চায়ের হোটেল, প্রকাশ ভূট্ট সাওদাগরের ফার্নিচারের দোকান, ত্রিপন বড়ুয়া ওয়ার্কশপ দোকান, আব্দু রহিম মুদির দোকান, মার্কেট মালিক মকসুদ রহমানের তোকান ও দুটি টমটম চার্জের ঘর (দোকান)।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি কেজি স্কুল গেইটের পাশে মদিনা তুল উলুম মাদরাসা নামে পরিচিত এলাকায় মকসুদ রহমান মার্কেটে আগুন লেগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ও উপজেলার পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই মার্কেটের সাতটি দোকানের অধিকাংশ পুড়ে গেছে। এতে তাদের আনুমানিক প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ।
ক্ষতিগ্রস্ত এবং এলাকাবাসীদের দাবি, প্রতি বছর নাইক্ষ্যংছড়ি বিভিন্ন জায়গায় শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে এই উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা খুবই প্রয়োজন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, ‘মধ্যরাতে আগুন লেগে সাতটি দোকান পুড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দ্রুত পাঠিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি। তবে কেউ বলছে বিদুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হতে পারে। তদন্তের পর ক্ষতির পরিমাণ এবং আগুন লাগার সূত্র জানা যাবে।’