বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০০:২৫ এএম
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের অফিস। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধে বগুড়ায় নাশকতার ঘটনায় করা আওয়ামী লীগ নেতার মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ১ নভেম্বর শাজাহানপুর থানায় করা মামলায় ওই নেতাকে আসামিদের তালিকার ২২ নম্বরে রাখা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতার নাম আহসান হাবিব রবি। তিনি শাজাহানপুরের মাঝিড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পেশায় একজন ঠিকাদার। মামলাটি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারেক হোসেন সুমন। মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় অনেককে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩১ অক্টোবর অবরোধের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান সোহবার হোসেন ছান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক আরজুর নেতৃত্বে সংগঠনের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বনানী মোড়ে শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শাজাহানপুরের বেতগাড়ী বাইপাস মোড়ে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছিলেন। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং সাতটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এমনকি ককটেল বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগ নেতা সোহবার হোসেন ছান্নু ও জাহিদুল হক আরজুসহ অন্তত ৮-১০ জন আহত হন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুমন বাদী হয়ে মামলা করেন৷ সেই মামলাতেই ২২ নম্বর আসামি করা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রবিকে।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিয়াউল হক জুয়েল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রবি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় সদস্য। তাকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। যা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য লজ্জার বিষয়৷ আর অবরোধের দিন রবি আমাদের সঙ্গে মাঝিড়া অবস্থান করছিল, যার ভিডিও ও ছবি আমাদের কাছে প্রমাণ হিসেবে আছে।’
মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আহসান হাবিব রবি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সুমন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য। তার সঙ্গে একবার জমিজমা-সংক্রান্ত কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই আমাকে মামলায় আসামিদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে।’
মামলার বাদী তারেক হোসেন সুমন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আহসান হাবিব রবি স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে কি না জানা নেই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফুটেজে নাশকতার সময় রবিকে দেখা গেছে। নাশকতাকারী যেই দলেরই হোক না কেন, সে আইনের চোখে অপরাধী।’
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম আছে কিনা আমার জানা নেই। তদন্তসাপেক্ষে এ মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’