যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:০৪ পিএম
ফাইল ছবি
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো দেশে এসেছে ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম। রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এই ডিম বন্দরে আসে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ডিমগুলো পরীক্ষণের জন্য মাঠে রয়েছি। ডিম মাত্র বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। পরীক্ষণ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ২৯৫৬.৪০ ইউএস ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৪ ইউএস ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় ৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৬ টাকা ৬১ পয়সা।
ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার বিডিএস করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান মোট ১ কোটি ডিম আমদানি করছে। এরমধ্যে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আজ এলো। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে ১ কোটি ডিম আসবে। এসব ডিম রপ্তানি করছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলার কানুপ এন্টারপ্রাইজ।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি বেনাপোলের এমি ইন্টারন্যাশনালের মালিক রাতুল ইসলামের কাছে ডিম আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের প্রতিনিধি আমার কাছে কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল। ইতোমধ্যে ৬১ হাজারের অধিক ডিম বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জেনেছি। এখানে পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল এক নম্বর শুল্কায়ন গ্রুপের সুপারেনটেন্ড রেজাউল করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ডিম আমদানির ওপরে ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স আছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।