লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও জাকের পার্টির প্রার্থী শামছুল করিম খোকন।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনদের বল প্রয়োগ, জাল ভোট, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও জাকের পার্টির শামছুল করিম খোকন ভোট বর্জন করেছেন।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।
লাঙল প্রতীকের প্রার্থী রাকিব হোসেন অভিযোগ করেন, ‘প্রায় ৯০ ভাগ কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমার এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। আর ঢুকতে দেয়নি। আওয়ামী লীগের লোকজন জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য ছিল। অথচ বাক্সগুলো দেখতে তা মনে হয়নি। তাহলে এসব ভোট কে বা কারা দিয়েছে? নির্বাচনের নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এজন্য আমি ভোট বর্জন করেছি।’
ভোট বর্জন করা অপর প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী শামছুল করিম খোকন বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হবে বলে প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জাল ভোট দিয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্রেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। কোথাও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ছিল না। এজন্য ভোট বর্জন করে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।’
এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন গোলাম ফারুক পিংকু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে। কোথাও কোনো প্রভাব খাটানো হয়নি। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়। কারণ ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমরা সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেতন ছিলাম।’
জাল ভোট ও অনিয়মের বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী কী অভিযোগে ভোট বর্জন করেছে তা আমাকে তারা জানাননি। ভোট বর্জনের বিষয়টিও আমি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র ভিত্তিক চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহারে প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
একই কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’