× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিদ্যালয়ে পাকা ভবনের অপেক্ষায় ৫০ বছর

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১২ পিএম

আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম

চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভবনের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভবনের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম এলাকার চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার চিৎরম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ১৯৬০ সালে বেসরকারিভাবে যাত্র শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এলাকার একমাত্র এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়। কিন্তু সরকারি হওয়ার পরও বিগত ৫০ বছরেও স্কুলটি পায়নি পাকা কোনো ভবন। জরাজীর্ণ এক টিনশেড ঘরেই চলে পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রমও।

সম্প্রতি কথা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। টিনশেড দেওয়া একটি ঘরে ৩টি কক্ষে পাঠদান হয়। অন্য ১টি কক্ষ অফিস ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্ষা মৌসুমে ক্লাসরুমে পানি পড়ে, ফলে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই স্কুলের জন্য একটি নতুন ভবন জরুরি। 

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুইহ্লা মং মারমা বলেন, আমাদের এই গ্রামে ২ শত মারমা পরিবারের বসবাস। এই গ্রামে কোনো হাই স্কুল নেই। আছে শুধু ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অত্যন্ত জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে আমাদের শিশুরা ক্লাস করে। ফলে বিদ্যালয়ে একটি পাকা ভবন জরুরি। এলাকার ৮০ বছর বয়সি সুইয়েচিং মারমা এবং স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হ্লানুচিং মারমা বলেন, এই পাড়ায় অবস্থিত একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিনশেডের। ৩টি কক্ষে কোনোরকমে ক্লাস করানো হয়। আমরা সরকারের নিকট একটা পাকা ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। 

এদিকে সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন দুর্গম এই চাকুয়া পাড়ায় আসেন। এ সময় তিনি চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, আমি নিজে দেখেছি এই স্কুলের অবস্থা। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

কাপ্তাই উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার আচার্য্য বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পিইডিপি-৪ এর আওতায় চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে সকল বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আশা করছি শিগগিরই ভবনের বরাদ্দ চলে আসবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খুবই আন্তরিক।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলির নদীর কোলঘেঁষে অচিৎমরম ইউনিয়নের চিৎমরম বাজার। বাজারের দক্ষিণে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই পাড়ায় আসতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে মোটরসাইকেল দিয়ে অতি কষ্টে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই এলাকায় চলাচল করতে হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা