× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নৌকা জাদুঘর

গল্পকথার সেই সব নৌকার সমাহার

বরগুনা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম

বরগুনায় নির্মিত দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর। এর নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। প্রবা ফটো

বরগুনায় নির্মিত দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর। এর নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। প্রবা ফটো

প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাহন হিসেবে নৌকা ব্যবহার হয়ে আসছে। নদীমাতৃক দেশের নদ-নদীতে একসময় দাপিয়ে বেড়াত বাহারি নকশা ও শৈল্পিক কারুকার্যের নানা ধরনের নৌকা। কালের বিবর্তনে সেসব এখন আর দেখা যায় না। বিলুপ্তপ্রায় বাহারি নৌকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানোর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বরগুনায় নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর।

জাদুঘরটির নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, যেখানে রয়েছে নতুন-পুরোনো একশ নৌকার অনুকৃতি। জাদুঘরের সঙ্গে আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান চালু করার কথা থাকলেও গত আড়াই বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থী হারাচ্ছে এ জাদুঘরটি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। মূল ভবনটি ৭৫ ফুট ও গলুই ২৫ ফুট। ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ১০০টি নৌকার আকৃতি। এর মধ্যে রয়েছে ডিঙি, একমালই, কেরায়া, পানসি, গয়না, কোন্দা, ঘাসি, সাম্পান, লম্বাপাদি, কাঠামি বা রপ্তানি, বাচারি, পাতাম বাইচ, লক্ষ্মী, বিলাস, বৌচোর, শ্যালো, কোষা, ময়ূরপঙ্খী,

চাঁদনৌকা ইত্যাদি। ছোট-বড় খাল-নদী-সাগরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বিবেচনায় বিভিন্ন রকম নৌকা রাখা হয়েছে জাদুঘরটিতে। তৎকালীন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জাদুঘরটির পাশাপাশি নৌকা গবেষণাকেন্দ্র, আধুনিক লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিশুদের বিনোদনের জন্য রাইড, থিয়েটার, ক্ষুদ্র ক্যাফেসহ নানা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আশ্বাস ছিল। তবে উদ্বোধনের আড়াই বছরেও এসব বাস্তবায়ন হয়নি।

জেলা প্রশাসন ভবন-সংলগ্ন ৭৮ শতাংশ জমিতে মাত্র ৮১ দিনের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের সর্বপ্রথম নৌকা জাদুঘরটি। মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, কালের বিবর্তনে নৌকা এখন খাল-নদী-সাগরে তেমন দেখা না গেলেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পেক্ষাপটে একসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অবদান রেখেছে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে।

জাদুঘর দেখতে আসা আজমেরী মোনালিসা জেরিন বলেন, ‘এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। জাদুঘরে যেসব নৌকার অনুকৃতি রাখা হয়েছে, এর বেশিরভাগই দেখা হয়নি আমার। আমাদের শিশুরাও এগুলো দেখে ঐতিহ্যের বিষয়ে জানতে পারছে।’

সাংস্কৃতিককর্মী আল আমিন বলেন, জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ, বাংলাদেশের চিরায়ত লোকজ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও তরুণ প্রজনের কাছে নৌকার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে জাদুঘরের মাধ্যমে।’

রাকিবুল ইসলাম রাজন নামে এক ব্যক্তি বলেন, কালের পরিক্রমায় এসব নৌকা হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া নৌকার স্মৃতি ধরে রাখতে জেলা প্রশাসন নৌকা জাদুঘরটি নির্মাণ করে। এ জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নৌকা দেখতে ও নৌকার ইতিহাস জানতে পারছে। বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের একমাত্র নৌকা জাদুঘর দর্শনার্থীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সব কাজ করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা