৬০ হাজার কর্মী নিয়ে আ.লীগের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেবেন পাটমন্ত্রী ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়ায় অবস্থিত রংধনু গ্রুপের অস্থায়ী কার্যালয়ের মাঠে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম।

এ সময় আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ’৪ নভেম্বর (শনিবার) ঢাকার আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সেই সমাবেশ সফল করার জন্য পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ও আমার পক্ষ থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কর্মী নিয়ে উপস্থিত হব। তাই সকাল ১০টার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে বালু নদী ব্রিজ এলাকায় উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেখান থেকে বাসযোগে আমরা সমাবেশে যোগ দেব।’

তিনি বলেন, ’বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ দিয়ে দেশের মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করব। বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেন সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব এবং মাঠে থাকব। আগামী সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ থেকে নৌকার বিজয় এনে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব। আবারও সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’

আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, ’৩০ অক্টোবর জাতীয় ইমাম সম্মেলন-২০২৩ এবং ষষ্ঠ পর্যায়ের ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধনের জন্য রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আগমন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হাজার হাজার মুসল্লি ও নেতাকর্মী নিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। আমি ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ ছিল, সেখানেও আমি ৩০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেছি। আর ৪ নভেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নিজেও উপস্থিত থাকবেন। সেখানে তো আরও বেশি করে লোকের সমাগম ঘটাব।’  

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ’আমরা শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব। আজকে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তাতে এ দেশের সাধারণ মানুষ দিন দিন ক্ষিপ্ত হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা এসব আগুন-সন্ত্রাস প্রতিরোধ করব। আমরা রূপগঞ্জে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে রাজপথে থাকব। নৌকাকে বিজয়ী করে আবারও আমরা ঘরে ফিরব।’ 

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান, আলহাজ শফিকুল ইসলাম, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু দাউদ মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি জোসনা মহিউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার,  তারাবো পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনা আকতার, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনসহ অনেকে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ।