শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৭ পিএম
সাজা পাওয়া আসামিদের পুলিশের পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়। প্রবা ফটো
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর বাবা মোফাজ্জল হক ও তার আত্মীয় লুৎফা বেগম নামে আরও দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজা পাওয়া তিনজন নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কিশোরীকে অপহরণের দায়ে আসামি বাবুকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে। ধর্ষণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে। উভয় সাজা একসঙ্গে চলমান থাকবে। আর মামলার বাকি দুই আসামিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথির বরাতে বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার ওই কিশোরীর সঙ্গে মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কিশোরীর বাবা-মা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে ওই কিশোরীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল ও লুৎফার সহযোগিতায় বাবু চানাচুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে ধর্ষণ করে বাবু।
তিনি বলেন, বাড়ি ফিরে কিশোরীকে না পেয়ে তার বাবা নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল হক। সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।