লালমনিরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩২ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৬ পিএম
রবিবারের হরতালে লালমনিরহাটে বিএনপির পিকেটিংয়ে নিহত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙ্গা আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন নিহত জাহাঙ্গীরের চাচা মাওলানা লুৎফর রহমান। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে নিহত জাহাঙ্গীরের মরদেহ তার বাড়িতে নেওয়া হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আফরোজা বেগম কফিনবন্দি স্বামীর মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় আফরোজা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী নিরপরাধ। তাকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। যে দুলুর নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা আমাকে বিধবা করেছে, আমার সন্তানদের এতিম করেছে, আমি সেই নির্দেশদাতা দুলুসহ বিএনপির সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলব, আমার চাওয়া শুধু এতটুকুই।’
জানাজায় অংশ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুলুর নির্দেশে হরতালের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে। লালমনিরহাটে সন্ত্রাসের গডফাদার জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুকে গ্রেপ্তারের জন্য জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, নিহত জাহাঙ্গীর আলীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গতকাল জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের পর মামলা রুজু হবে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান শুরু করা হবে।