কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩০ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৮ পিএম
পরিত্যক্ত প্লাস্টিককে সবাই অবমূল্যায়ন করলেও সেই প্লাস্টিক এখন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে মহামূল্যবান। দ্বীপে বিকল্প মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক। যা জমা দিয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা কিনছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এমন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামী তিন মাস সেন্টমার্টিনে চলবে এই কার্যক্রম। গতকাল দুপুরে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন।
ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য কী পরিমাণ ভয়াবহ তা যদি মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হই, তাহলেই এই আয়োজন সার্থক। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন গত বছর এই আয়োজনের মাধ্যমে ২৩ ম্যাট্রিক টন প্লাস্টিক সেন্টমার্টিন থেকে মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করেছিল। এ বছর আশা করছি এর চেয়েও বেশি প্লাস্টিক এখান থেকে সরানো যাবে। এই কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন একাত্মতা ঘোষণা করছে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনের সামুদ্রিক শৈবাল ও রঙিন প্রবাল সমৃদ্ধ বিশাল সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য সবার নজর কাড়লেও প্রতিনিয়ত সমুদ্র ও দ্বীপের পরিবেশের অবনতি ঘটছে। যেখানে সেখানে এমনকি সমুদ্রের পানিতে প্লাস্টিক ফেলার কারণে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ, হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সংগৃহীত প্লাস্টিক দ্বীপ থেকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে রিসাইকেল করা হয়। সংগৃহীত প্লাস্টিকের একটি অংশ দিয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবীরা কক্সবাজারে সচেতনতামূলক প্রদর্শনী করবে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন জনসাধারণের কাছে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরবে।