চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৯ পিএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২ ২১:৩৪ পিএম
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু। ছবি : প্রবা
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এবার যুক্ত হলো নতুন অতিথি। হল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে ছয়টি ক্যাঙ্গারু ও ছয়টি লামা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছায়। সকাল ১০টায় এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু ও লামা আনা হলো। দুটি প্রাণীরই দুইটি করে পুরুষ ও চারটি নারী প্রজাতি আনা হয়েছে।
এদের বয়স দেড় বছরের মতো। সাধারণত ক্যাঙ্গারু ২০ বছর ও লামা ১৬ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে বলেও জানান তিনি।
এই দুটি প্রাণীর মধ্যে লামা হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার এক প্রকার প্রাণী। এটি উটের সমগোত্রীয়। অন্যদিকে ক্যাঙ্গারু মারসুপিয়াল গোত্রের এক প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া ও প্রতিবেশী দ্বীপগুলোতে দেখা যায়।
এই দুটি প্রাণীর জন্য কেমন প্রস্তুতি নিতে হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘এদের থাকার জন্য খাঁচা করতে হয়েছে ১২০০ স্কয়ার ফিটের। তা ছাড়া শীতের দেশের প্রাণী হলেও এরা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। চট্টগ্রামে ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হয় না। আর দুটি প্রাণীই তৃণভোজী। এজন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির দরকার হয়নি। এরইমধ্যে মনে হচ্ছে লামা দ্রুত নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে, ক্যাঙ্গারুর কিছুটা সময় লাগবে। এগুলো আরও ১৫ দিন পর আমরা অফিসিয়ালি বুঝে নেব। এই ১৫ দিন হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে এর দায় দায়িত্ব সরবরাহকারীর।’
সরেজমিনে লামার খাঁচার সামনে গিয়ে দেখা গেছে লামাগুলো দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করছে আর আশপাশের গাছগাছালির পাতা খাচ্ছে। তবে একেবারেই ভিন্নচিত্র ক্যাঙ্গারুর খাঁচায়। ক্যাঙ্গারুগুলো দুই-তিনভাগে ভাগ হয়ে চুপচাপ বসে থাকছে। মাঝে মাঝে যদিও স্থান বদল করছে, তবে বেশিরভাগ সময়ই নির্জীব থাকছে এটি।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে এখানে ৬৮ প্রজাতির মোট ৬৩০টা প্রাণী আছে।
প্রবা/রাই/টিই