কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৩ পিএম
কমলনগরের তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। প্রবা ফটো
ঢাকায় ৩ নভেম্বর মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আয়োজনে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশে আজ করুণ অবস্থা চলছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংকট ততই বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বলা যায় না। দেশ আজ জাহান্নামের চেয়েও খারাপের দিকে দাবিত হচ্ছে। দেশে রাজনৈতিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। যারা দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না, তাদের বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে চরমোনাই পীর বলেন, দিল্লি আছে তো আমরা আছি বলে যে বক্তব্য আপনি দিয়েছেন। এতে আপনি দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছেন। সরকার দেশে উন্নয়নের কথা বললেও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ভয় পায় কেন? এ অবস্থায় আমরা বসে থাকলে চলবে না। দিল্লির ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আপনাদের অধীনে নয়, জাতীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। সরকার যদি ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ না করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আগামী ৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আগামী দিনে হাতপাখাকে ক্ষমতায় আনতে পাড়া-মহল্লায় জনগণকে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, এ মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে।
ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি অনারারি (অব.) ক্যাপ্টেন মুহাম্মাদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উপদেষ্টা ও চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল খলিলুর রহমান প্রমুখ।
চরমোনাই পীর বলেন, ভোটের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে মাঠে নেমেছি। ১৪ ও ১৮ সালে প্রহসন ও ডাকাতের নির্বাচন ছিল। এবার প্রহসনের নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। উন্নয়নের নামে তারা মেগা চুরি ও ডাকাতি করেছে। বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে আর লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
জনসভা শেষে একই উপজেলার হাজিরহাট সরকারি মিল্লাত একাডেমির মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি আয়োজিত বিশাল ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।