× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্বপ্নের টানেলে সম্ভাবনার আলো

এস এম রানা ও সুবল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১১ পিএম

শুধু বাংলাদেশ নয়. পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই প্রথম সুড়ঙ্গপথ নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে। প্রবা ফটো

শুধু বাংলাদেশ নয়. পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই প্রথম সুড়ঙ্গপথ নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে। প্রবা ফটো

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় চট্টগ্রাম বন্দর। সুদীর্ঘকাল ধরে এই বন্দরের পশ্চিমপাশে সঞ্চারিত দেশের বাণিজ্যিক প্রাণ। আর পূর্বপাশ ছিল কার্যত বিরানভূমি। গুটিকয়েক শিল্পকারখানা পূর্বপাশে প্রাণ সঞ্চারের স্বপ্ন দেখালেও উন্নত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে সেই সুযোগ কাজে লাগেনি। সেই অতীত আজ ২৮ অক্টোবর থেকে বিলীন হচ্ছে কালের গর্ভে। কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল শুধু স্বাধীন বাংলাদেশে নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সুড়ঙ্গপথ। যার কপাট খুলতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পা রাখেন বন্দরনগরীতে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে পৌঁছান তিনি। সাড়ে ১১টায় উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এরপর টানেল হয়ে দুপুর ১২টায় আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে পৌঁছে সেখানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা শেষে তিনি আবার টানেল হয়ে পতেঙ্গা ফিরে ঢাকার পথে পাড়ি জমাবেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য শুধু সুড়ঙ্গপথের দুয়ারই খুলবেন না; একই সঙ্গে ‘আগামীর শহরের’ দীগন্তও উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়েই চট্টগ্রামে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনেকেই যেকোনো সংকটের সময় টানেলের শেষে আলোর খোঁজ করেন, সমাধানের সম্ভাবনা খোঁজেন। আর আজ চট্টগ্রামে প্রতীকী অর্থে নয়, সত্যিকার অর্থেই টানেলে যুক্ত হচ্ছে আগামীর আলো, সম্ভাবনার আলো। ফলে চারদিকেই উৎসবমুখর পরিবেশ, সাজসাজ রব। 

মাত্র ১৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চট্টগ্রাম মহানগরীতে জনবসতি প্রায় ৭০ লাখ। আর ১৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আনোয়ারায় বসতি মাত্র তিন লক্ষাধিক। সেই তিন লক্ষাধিক মানুষের জন্য নতুন শহরের গোড়াপত্তন হচ্ছে। যাতে নতুন শহরটি মানুষ নিজেদের পরিকল্পনামতোই গড়ে নিতে পারে। শুধু নতুন শহর নয়, এই টানেলে যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ে। টানেলটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও বেগবান করতে অবদান রাখবে। 

টানেলের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ চৌধুরীর তথ্য অনুযায়ী, টানেলের ভেতর গাড়ি চলবে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে। সংযোগ সড়কসহ টানেলের দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পশ্চিম ও পূর্বপ্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন রয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরে প্রতিটি সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতায়। 

সরেজমিন সুড়ঙ্গপথ ঘুরে দেখা গেছে, যুগান্তকারী প্রকল্পটি কর্ণফুলীর তলদেশে বাস্তবায়িত হয়েছে। কর্ণফুলীর ওপরিভাগের জলভাগে চলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। সেই নদীর তলদেশে দুই সুড়ঙ্গে নির্মিত হয়েছে চার লেনের সড়ক। নদীর পশ্চিম থেকে পূর্বপ্রান্তে পৌঁছতে সময় লাগছে মাত্র ৩ মিনিট। ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চালিয়ে সুড়ঙ্গপথ পাড়ি দেওয়ার সময় বোঝা যায়নি, পানির নিচে মাটির প্রায় ১৫০ ফুট গভীর দিয়ে চলেছি আমরা। 

স্বপ্ন ও বাস্তবায়ন যার হাত ধরে

২০০৮ সালে লালদীঘি মাঠে এক জনসভার বক্তব্যে কর্ণফুলী নদীতে টানেলের স্বপ্নের কথা চট্টগ্রামবাসীর কাছে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তিনি। পরের বছর ২০১০ সালে টানেল প্রকল্পের প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। ২০১২ সালে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়। ২০১৪ সালে সেতু কর্তৃপক্ষ চীনের চায়না কমিউনিকেশনস অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসিএল) সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-চীন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। আর প্রধানমন্ত্রী টানেলটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ। 

পতেঙ্গা-আনোয়ারামুখী ২ হাজার ৪৪৬ মিটার দীর্ঘ প্রথম সুড়ঙ্গের খননকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ২ আগস্ট। আর আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গামুখী সুড়ঙ্গের খননকাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর। এরপর শেষ করা হয় দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে তিনটি ক্রস প্যাসেজ বা সংযোগপথের কাজ। দুর্ঘটনার সময় খুলে যাবে এসব ক্রস প্যাসেজ। প্রাথমিক কাজের সমাপ্তির পর ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর টানেলের দক্ষিণপ্রান্তের একটি টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

অর্থায়ন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ২০১৫ সালে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাল্টি লেন রোড টানেল প্রকল্প অনুমোদন দেয়। মেয়াদ নির্ধারিত ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর সংশোধিত বাজেটে মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা করা হয়। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হারে সুদে ২০ বছর মেয়াদি ঋণ দেয় ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। বাকি ৪ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার। 

 টোল আহরণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্ক্যানার বসানো ও স্ক্যানার পরিচালনায় বছরব্যাপী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসিএল)। এ বাবদ সিসিসিসিএলকে পাঁচ বছরে ৯৮৩ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার ১৬৬ টাকা পরিশোধ করতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। এর মধ্যে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে ৬৫ শতাংশ বা ৬৫৭ কোটি টাকা। আর বাকি ৩৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হবে মার্কিন ডলারে। যার পরিমাণ ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২৭ কোটি টাকা।

স্ক্যানার

টানেলে যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে অত্যাধুনিক স্ক্যানার বসানোর পরিকল্পনা করা হয় প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে। তাই কিছুটা বিলম্ব হলেও শেষ মুহূর্তে দুটি  স্ক্যানার বসেছে। বাকিগুলো পরে বসবে। এর সঙ্গে আন্ডার ভেহিকল সার্ভিলেন্স সিস্টেম (ইউভিএসএস) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বন্দরে কন্টেইনার কিংবা ভারী যানবাহন স্ক্যানিং কার্যক্রমের মতোই টানেলে প্রবেশের মুখে ট্রাক ও লরিসহ পণ্যবাহী যানবাহন পরীক্ষার জন্য স্ক্যানার ব্যবহার হবে। স্ক্যানার সরবরাহ করছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটর।

নিরাপত্তা

কি-পয়েন্ট ইন্সটলেশনভুক্ত (কেপিআই) টানেলের নিরাপত্তায় থাকছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ ছাড়া ফৌজদারি অপরাধ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় থাকছে পুলিশ। এ কারণে টানেলের দুই প্রান্তে দুটি থানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। কিন্তু থানা স্থাপনের এই প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ঝুলে আছে। আপাতত দুটি ফাঁড়ির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবে মহানগর পুলিশ। এ ছাড়া উভয়প্রান্তে দুটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন হচ্ছে। গাড়িতে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পরিবহন করা হচ্ছে কি না, সেটি পরীক্ষা করতে থাকবে ১০টি স্ক্যানার।

যান চলাচল ও টোলহার

ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে কক্সবাজার, বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী গাড়ি চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রবেশ না করে সরাসরি চলে যাবে আউটার রিং রোড ধরে। পতেঙ্গা পৌঁছে গাড়ি টানেলে প্রবেশ করবে। টানেল পেরিয়ে গাড়ি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উঠবে শিকলবাহা ওয়াই জংশনে। এ ছাড়া বাঁশখালী, আনোয়ারা সদর, চন্দনাইশমুখী গাড়িগুলো পিএবি সড়ক ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। একইভাবে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলামুখী গাড়ি চট্টগ্রাম মহানগরে প্রবেশ না করেই ওয়াই জংশন হয়ে টানেলে প্রবেশ করে আউটার রিং রোড হয়ে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে পৌঁছবে। 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, টানেল চালু হওয়ার পর ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। ২০৩০ সালে যানবাহন চলাচলের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সালে যানবাহনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার।

এরই মধ্যে টানেলের টোলহার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, টানেলে ১২ ধরনের যানবাহনকে টোল দিতে হবে। তবে টানেলে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। সর্বনিম্ন টোল ধরা হয়েছে প্রাইভেটকার পারাপারে। এতে ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। প্রতিবার পারাপারে পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, ৩১ আসনের কম বাস ৩০০ টাকা, ৩২ আসনের বেশি বাস ৪০০ টাকা। 

তিন এক্সেলবিশিষ্ট বড় বাস ৫০০ টাকা, পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে সক্ষম ট্রাক ৪০০ টাকা, আট টনের ট্রাক ৫০০ টাকা, ১১ টনের ট্রাক ৬০০ টাকা। তিন এক্সেলের ট্রেইলার ৮০০ টাকা, চার এক্সেলের ট্রেইলার ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি টোল ২০০ টাকা হারে।

যা আছে টানেলে

যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে টানেলের দুইপ্রান্তে ১৫ মেগাওয়াটের একটি করে দুটি সাবস্টেশন বসেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে টানেলে। টানেলের ভেতরে বায়ু চলাচলের জন্য বড় ফ্যান বসেছে আটটি। জেট ফ্যান বসেছে ১২৬টি।

জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় টানেলের দুইপ্রান্তের প্রবেশমুখে বিশেষ কপাট বসানো হয়েছে। দুর্যোগে বন্ধ করা যাবে কপাট বা ফ্লাড গেট। ভেতরে সেচপাম্প বসানো হয়েছে ৫২টি। টোল প্লাজায় ১৪টি সারি রাখা হয়েছে। একই সময়ে ১৪টি গাড়ি টোল পরিশোধ করতে পারবে। 

পুরো প্রকল্প সিসিটিভির আওতাভুক্ত। সড়কের দুইপাশে বসেছে সারিবদ্ধ লাইটপোস্ট। প্রবেশমুখে বসেছে জায়ান্ট স্ক্রিন ডিসপ্লে। এতে স্বাগত জানানো হবে যাত্রীদের, প্রদর্শিত হবে নানা নির্দেশিকা ও সতর্কবার্তা। টানেলে ব্যবহৃত হয়েছে তিন ধরনের রঙ। দেয়ালে রুপালি ও লাল, ওপরে কালো। ওপরের অংশে দুই সারি করে লাগানো হয়েছে নানা রঙের লাইট। কিছুদূর পরপর দেয়ালে লাগানো আছে বিশেষ ধরনের মাইক ও ফায়ার অ্যালার্ম। আগুন লাগলে বেজে উঠবে সাইরেন। মাইকের নিচে আছে ফায়ার এক্সটিংগুইশার। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে পারবেন যাত্রীরা। এফএম রেডিও ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়ির চালক-যাত্রীরা পাবেন টানেলের সর্বশেষ বার্তা। ঢালু টানেলে আছে লোহার ছাঁকনি, পানি জমলে চলে যাবে নিচের ট্যাংকে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা