ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২১ পিএম
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৫২ পিএম
বাবার সঙ্গে রবিউল। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আহত শিশু রবিউলের (৮) পরিবারের খোঁজ মিলেছে। শিশুটির স্বজনদের সন্ধানে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বাবা মিলন মিয়া তার ছেলের সন্ধান পান।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেলা ১১টায় ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম মোল্লা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রিফফাত জাহান ত্রপা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কিশোর কুমার ধরের সামনে রবিউলকে তার পিতা মিলন মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিউলের বাবা মিলন মিয়া জানান, মিরপুর ১ এ শাহআলী থানা চিড়িয়াখানা রোড এলাকায় তিন ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। কিছুদিন আগে রবিউলের মা মারা গেছেন। রবিউলকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়েছিল। সে লেখাপড়া করতে চাই না। তারা তিন ভাই। বড় ছেলে মিরা (১৩) ও ছোট ছেলে তামিম। রবিউল মেঝো। তিনি মিরপুর ৮ নম্বরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে রবিউলকে গোসল করিয়ে দিলে সে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। তিন বন্ধুর সঙ্গে খেলতে বের হয়ে হারিয়ে যায়। পরে বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারি মেট্রোরেলে বিমানবন্দরে চলে গেছে রবিউল। ছেলে হারানোর বিষয়টি ২২ অক্টোবর রাতে মিরপুর থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার জানান এক দিন অপেক্ষায় থাকেন দেখেন ছেলে ফিরে আসে কি না। ২৫ অক্টোবর থানার ওই এসআই জানান, ভৈরবে আমার ছেলেকে পাওয়া গেছে। পরে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করে রাত ১১টায় ভৈরবে আসি।’
দুর্ঘটনার পর তিন দিন থেকে রক্ষণাবেক্ষণে রাখা নার্স জান্নাত বেগম বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল রবিউলকে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। ওই সময় তার সঙ্গে কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন সুস্থ্য হলে জানতে পারি সে ঢাকার বাসিন্দা। কিন্তু সঠিক ভাবে কিছু বলতে পারেনি। তবে রবিউল বলেছে তার দাদা-দাদি তাকে মারধোর করে তাই সে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে।
২৩ অক্টোবর সোমবার বিকালে ভৈরবের জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস (গোধুলী) ট্রেনের সঙ্গে বিপরিত দিক থেকে আসা কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেনের সংঘর্ষ ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। দুর্ঘটনায় এগারসিন্দুর ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়।