× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৃদ্ধার নতুন ঘর ও মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৯ পিএম

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৫৮ পিএম

ইউএনও কথা বলছেন বৃদ্ধা সুরামনির ঘরের সমানে। প্রবা ফটো

ইউএনও কথা বলছেন বৃদ্ধা সুরামনির ঘরের সমানে। প্রবা ফটো

৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা সুরামনির স্বামী প্রায় পাঁচ বছর আগে চিকিৎসা অভাবে মারা যান। স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন সুরামনি। কোনো সহায়সম্বল না থাকায় আশ্রয় হয় দশমিনা- গলাচিপা- লেবুখালী আঞ্চলিক সড়কের বাউফল উপজেলার বগা বন্দরের রাস্তার পাশে। সেখানেই পুরানো কাপড়, পলিথিন, প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকেন। সেখানে রাস্তার ধুলাবালি, বৃষ্টির পানি আর শীতের কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কখনো পাশে দাড়ায়নি, বাড়িয়ে দেয়নি সহায়তার হাত। এমনকি সরকারের কোনো সহায়তাও এতদিন জুটেনি বৃদ্ধা সুরামনির কপালে। 

সম্প্রতি ওই পথে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শেন যাওয়ার সময় ঝুপড়ি ঘরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীর নজরে পড়ে। গাড়ি থামিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। সুরামনির জন্য মুজিব বর্ষের পাকা ঘর ও তার মেয়ের পড়াশুনার খরচের দায়িত্ব নেন ইউএনও।  এ ছাড়াও ৫০ কেজি চাল ও কিছু নগদ টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।

সুরামনির ছেলে গোপাল মিস্ত্রি ও তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বাবা যুগল মিস্ত্রি শ্রমিকের কাজ করতেন। থাকতেন অন্যের বাড়িতে। পাঁচ বছর আগে মারা যান তাদের বাবা। তাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তাদের মা সুরামনি। ঠাঁই হয় রাস্তার পাশে পুরানো কাপড়, পলিথিন, প্লাস্টিক আর কয়েক টিনের মোড়ানো ঝুপড়িতে। তাদের মা সুরামনি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করেন। ছেলে লঞ্চে পানি বিক্রি করেন। তাদের দুজনের সামান্য আয়ে কোনো রকম আহার জোটে। মেয়ে স্থানীয় বগা বালিকা ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।  

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. সবুজ বলেন, গত রবিবার বগা ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের পাশে মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ পরির্দশনে যান ইউএনও। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ঝুপড়ি ঘরটি ইউএনওর নজরে পড়ে। গাড়ি থামিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন তিনি। তাৎক্ষনিক মুজিববর্ষের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। স্কুল পড়ুয়া মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্বও নেন তিনি। বুধবার (২৫ অক্টোবর) তাদেরকে নতুন ঘর উপহার দিবেন। 

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন আসার খবরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে ওই বৃদ্ধার ঝুপড়িতে চলে যান ইউএনও। খোঁজ খবর নেন তাদের। ওই সময় তাদের জন্য ৫০ কেজি চাল ও নগদ কিছু টাকাও উপহার নিয়ে যান ইউএনও। 

অনেক দিন পর সুরামনির মলিন মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি বলেন, আমাগো কষ্ট দূর হইছে। স্যারে আমাগো ঘর দিছে। আমার মাইয়ার পড়ার খরচ দিবে। চাউল আর টাহাও দিছে। এহন মরার আগে একটু শান্তিতে মরতে পারমু। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন হতদরিদ্র মানুষের জন্য পাকা ঘর দিচ্ছেন। সুরামনির মত এমন একটি অসহায় পরিবারকে সেই ঘর দিতে পরে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া প্রকল্প সার্থক হয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা