ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:২৬ পিএম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪১ পিএম
তিন দিন পার হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নুর জামালের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি।সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর লাশ ফেরতের দিনক্ষণ জানানোর কথা থাকলেও আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানায়নি বিএসএফ।
নিহত নুর জামাল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের মৃত তসলিম উদ্দীনের ছেলে।
নুর জামালের ভাই নুর ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে নুর জামালসহ পাঁচ-ছয় জন বাংলাদেশি চোরাপথে গরু আনতে রত্নাই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বিওপি সীমান্তের ৩৮২/৩ এস পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে গেলে সোনামতী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এতে নুর জামালের মৃত্যু হয়। নুর জামালের সঙ্গীরা পালিয়ে চলে এলে লাশ বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আজ তিন দিন হয়ে গেল আমরা এখনও লাশ ফেরত পাইনি। আমরা দ্রুত লাশ ফেরত চাই।’
নিহতের স্ত্রী আলেফা বেগম বলেন, ‘তিন দিন হয়ে গেল স্বামীর লাশ এখনও বিএসএফ দেয়নি। সোমবার পতাকা বৈঠকের পরও লাশ দেয়নি তারা। আমি আমার স্বামীর লাশ ফেরত চাই। তাকে শেষ দেখা দেখতে চাই।’
এ বিষয়ে আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকাল (ডংগা) বলেন, ‘নুর জামালের স্ত্রী আলেফা বেগম ও তার স্বজনরা লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনও লাশ ফেরতের দিনক্ষণ জানানো হয়নি।’
জানতে চাইলে রত্নাই বিওপি ক্যাম্প কোম্পানির কমান্ডার আবদুল জলিল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ভারতের সোনামতী বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সন্দীপ কুমারের সঙ্গে ৫০ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সামশুল আলমের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঘটনার সত্যতা বিএসএফ স্বীকার করলে বিজিবির পক্ষ থেকে লাশ ফেরত চাওয়া হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার কারণে ব্যস্ত থাকায় লাশ ফেরত চেয়ে পাঠানো বিজিবির চিঠির জবাব দেয়নি বিএসএফ। আশা করা হচ্ছে দুয়েক দিনের মধ্যে লাশ ফেরত দেবে বিএসএফ।’