× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নদীর বালু কেটে নদীতেই ডাম্পিং

মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩৯ পিএম

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা ঘাটের অদূরে যমুনায় ড্রেজিংকৃত নদীর মাটি নদীতেই ফেলা হচ্ছে। প্রবা ফটো

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা ঘাটের অদূরে যমুনায় ড্রেজিংকৃত নদীর মাটি নদীতেই ফেলা হচ্ছে। প্রবা ফটো

‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ডাল’ -আরিচা ঘাটের কাছে যমুনা নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম দেখলে এমনটাই মনে হবে যেকোনো মানুষের। চার মাস ধরে আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং ইউনিটের আটটি ড্রেজার দিয়ে খনন করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নৌপথের কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে এখনও ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটসহ অন্য নৌযানগুলোকে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার ভয় ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌযান চালকরা। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এই ড্রেজিংয়ে। ড্রেজিংয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও নৌপথের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তাই এসব বিষয়ে কথাও বলতে চাইছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে নাব্যতা সংকটের কারণে গত ১১ জুলাই থেকে আটটি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যা এখনও চলমান রয়েছে। তিন মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও নাব্যতার কোনো উন্নতি হয়নি। যে কারণে মাঝেমধ্যেই ঘুরপথে ঝুঁকি নিয়ে ফেরিসহ নৌযান চলাচল করছে। এতে একদিকে সময় বেশি লাগছে, অপরদিকে খরচও বাড়ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজিং করা নদীর বালু কেটে যদি চ্যানেলের উজানে ফেলা হয়। এভাবে খননের বালু নদীতেই ডাম্পিং করা হলে কোনো দিনই এ নৌপথের উন্নতি হবে না। কারণ পানির স্রোতে ডাম্পিং করা ওই মাটি আবার নৌ-চ্যানেলে এসে জমছে। এভাবে খনন কাজ করলে ড্রেজিংয়ের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না। এ নৌপথের ড্রেজিংয়ে প্রতিবছর গড়ে ১৫ কোটি টাকা করে খরচ হচ্ছে। গত ৩০ বছরে এই নৌপথে ড্রেজিং কাজের জন্য সরকারের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

ড্রেজিং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে নাব্যতা ঠিক রাখতে খননকাজের জন্য বিআইডব্লিউটিএ গত ১১ জুলাই থেকে তাদের আটটি ড্রেজার দিয়ে আরিচা ঘাটের কাছে যমুনায় খননকাজ করছে। ২০-২২ ইঞ্চি এবং ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের কাটার দিয়ে তারা খননকাজ করছে। এসব ড্রেজার দিয়ে যথাক্রমে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০, ৩৫০ ও ৩০০ ঘনফুট বালু কাটা যায়। প্রতিটি ড্রেজার প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে। এই হিসাবে গত ৯৮ দিনে প্রায় ৩১ লাখ ঘনমিটার মাটি কাটা হয়েছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদী খননের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নির্দেশনাবলির ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল কোনো অবস্থাতেই নদীর প্রবাহে নিক্ষেপ করা 

যাবে না।’ 

এসব বিষয়ে কথা বলতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি ধরেননি। মেসেজ পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি তিনি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সুলতান আহমেদকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আপনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেন।’ 

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আহমেদকে ফোন করা হলে তিনিও ধরেননি। মেসেজ পাঠালে উত্তরে তিনি এ বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএর পিআরও দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

বিআইডব্লিউটিএর পিআরও মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘নদীতে ড্রেজিং চলছে।’ আর কোনো প্রশ্নের উত্তর তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আরিচা ড্রেজিং বেইজড অফিসে ১০ কার্যদিবস ঘুরেও কোনো প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি।

এসব বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ড্রেজিং করা বালু নদীতে ফেলার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ড্রেজিং করা কোনো বালু নদীতে ফেলা হয় না। তবে লঞ্চঘাট বরাবর খনন করা নতুন চ্যানেলের বালু চ্যানেল এলাকার পাশে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিইআইজিএস কর্তৃক নির্দেশিত চরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে সিইআইজিএসের চেয়ারম্যান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল হাসানকে ফোন করলে তার একান্ত সচিব শাহজাহান আলী বলেন, ‘এসব বিষয়ে ফাইল না দেখে স্যার কোনো কথা বলতে পারবেন না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা