× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তালায় টিআরএম প্রকল্প

ক্ষতিপূরণ পেতে হয়রানির শিকার কৃষক

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৭ পিএম

তালার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরিএম প্রকল্পের বর্তমান চিত্র। প্রবা ফটো

তালার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টিআরিএম প্রকল্পের বর্তমান চিত্র। প্রবা ফটো

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে ৬ বিঘা জমি ছিল তেঘরিয়া গ্রামের অমরেন্দ্র পালের। জমি অধিগ্রহণের জন্য তিনি বিঘাপ্রতি ১৪ হাজার ৩৩৮ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। তবে দুই বছরের জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৬ বছর। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও বাকি চার বছরের ক্ষতিপূরণের টাকা মেলেনি।

শুধু অমরেন্দ্র পাল নন, টিআরএম প্রকল্পের আওতায় দুই হাজারের বেশি কৃষক নিজের জমি থাকতেও দীর্ঘ সময় তা ব্যবহার করতে পারেননি। আবার জমির দলিলসংক্রান্ত জটিলতায় ওই দুই বছরের অধিগ্রহণের টাকাও পাননি কয়েকশ কৃষক। ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে অনেকে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে প্রকল্পের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জমির মালিক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন। তাদের গণস্বাক্ষর করা আবেদন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালায় কপোতাক্ষ অববাহিকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়। পরে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০১১-১২ অর্থবছরে উপজেলার পাখিমারা বিলের চারপাশে ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা শেষ হয়। পরে মূল প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। এ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। তবে ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকদের অধিগ্রহণের টাকা দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দলিলসংক্রান্ত জটিলতায় বাকিরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রকল্প শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের জন্য ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দও হয়েছে বলে জানা গেছে। অথচ প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পাননি জমির মালিকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বালিয়া গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে দুরবস্থার মধ্যে আছি। নিজেদের জমি থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ না পেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। বাধ্য হয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি।’

টিআরএম প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ে কাজ করা মীর জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণের আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন জমির মালিকরা। ক্ষতিপূরণ না পেলে বাঁধ নির্মাণ করতে দেবেন না তারা। বর্তমানে পাউবো কর্তৃপক্ষ কৃষকদের এই দাবিকেই অজুহাত দেখিয়ে টিআরএম প্রকল্প অচল করে রেখেছে। এতে ২ হাজার ৬০ কৃষকের বকেয়া আটকে আছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তালার টিআরএম ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণস্বাক্ষর করা আবেদন দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যশোর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রাজস্ব খাতে টাকা ধরা আছে। কৃষকরা ডিসি অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা