রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
রাজশাহীর একটি কাঁচাবাজার। প্রবা ফটো
সকাল সকাল কাঁচাবাজার গিয়েছিলেন আব্দুর রহিম। তার কেনার তালিকায় ছিল আলু। বিক্রেতা জামালের সামনে যেতেই রহিমকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এই শুনে রহিম পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘বৃষ্টিতে হিমাগারের আলু নষ্ট হয়ে গেছে নাকি, লোক দেখানো দাম নির্ধারণ? তোমাদের আর দোষ কী।’
এই চিত্র সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের। এদিন সকাল থেকে শহরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক রাতের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমান দামে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। যা রবিবারও ছিল ৪৫ টাকা। আর সোমবার পাইকারি বাজারেই কিনতে হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকায়।
দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিজাত পণ্যেরও। এই তালিকায় আছে মিষ্টিকুমড়া– আগের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া এক কেজি পটোল কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর বেগুনের জন্য খরচ করতে হবে ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা লাউ ৪০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৩০ টাকা।
মসলাজাত পণ্যেরও দাম বেড়েছে। এক কেজি আদা কিনতে লাগছে ২২০-২৪০ টাকা, রসুন ২২০-২৮০ টাকা এবং অতিপ্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ৭০-১০০ টাকা।
দাম বাড়ায় শুধু ক্রেতা নয়, অস্বস্তিতে আছে বিক্রেতারাও। ক্রেতা আব্দুর রহিম তর্কে জড়ানো সাহেব বাজারের বিক্রেতা মো. জামাল এমনটাই বলছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে এসে শুনি পাইকারিতে আলুর দাম বেড়েছে। তাই আজ কিছুটা কম আলু কিনেছি। সবজির দাম বাড়লে ক্রেতার সঙ্গে কথা বেশি বলতে হয়, তর্ক বাঁধে। ক্রেতারা বোঝে না– দাম বাড়লে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। সরকার দাম বেঁধে দিয়েও কিছু করতে পারছে না।’
জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি নিজেও একজন ভোক্তা। এক কেজি আলু কিনেছি ৫০ টাকায়।’
অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’অভিযানে যখন নামি চিত্র থাকে একরকম, ফিরে আসার পর সেই চিত্র পাল্টে যায়। আমরা হিমাগার পর্যন্ত তদারকি করছি। খুচরা বাজারে সচেতনতার জন্য কাজ করছি। অনেকে নির্ধারিত দামে বিক্রি করছে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’