চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ ১৩ আসামিকে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবীর।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নূরে আলম সিদ্দিকী আসাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপু ও সদস্য নুরুল ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন- গোবরাতলা ইউনিয়নের মুনসেফপুরের মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলী, মো. হবু আলী, শারিফ আলি, মো. ফারুক আলী, মোহাম্মদ ওসমান আলী, আলী আহসান, ইউনুস আলী, আহাদ আলী, মোসা. মোসলেমা, মোসা. রোকেয়া বেগম ও মিলি বেগম।
২০২২ সালের ৩১ জুলাই গোবরাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণচরি মির্জাপুরের মৃত ফজর মণ্ডলের ছেলে মো. শাহ জামাল মামলাটি করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী শাহ জামালের ছেলে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের মুনসেফপুর গ্রামের মোসলেমা খাতুনের। বনিবনা না হওয়ায় সংসার জীবনের এক বছর পর ২০২২ সালের ৩১ মে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তালাক নিষ্পত্তি করতে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপু ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সালিশের আয়োজন করে। এ সময় বউ তালাক দেওয়ায় জসিমের কাছে দেনমোহর ও খোরপোষ বাবদ ২ লাখ ৩ হাজার টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যান।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, অযৌক্তিকভাবে দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা নির্ধারণ করায় তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৫ জুলাই ভোরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আসামিরা শাহ জামালের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা ঘরের দরজায় তালা মেরে বাড়ির উঠানে থাকা দুইটি গরু নিয়ে যায়। গরু দুটির মূল্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও ছেলের বউ জেসমিন আখতারের প্রায় ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণলাঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।
বাদীর আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকী আসাদ জানান, চলতি বছরের ৭ আগস্ট আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে ১৩ আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।