সাভার (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪৫ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
গ্রেপ্তার রাশেদুল ইসলাম। প্রবা ফটো
প্রেমিকাকে হত্যার ঘটনা আড়াল করতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে রেখেছিল প্রেমিক। মরদেহ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেপ্তার রাশেদুল ইসলামকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে তাকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪-এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের একটি দল। পরে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার রাশেদ হোসেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। পেশায় পরিবহন শ্রমিক।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার ওয়ারেস আলীর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রুনা আক্তার নামে পোশাক শ্রমিক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলছিল। ঠিক নিচে মেঝে পড়ে ছিল রুনার মরদেহ। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে আত্মহত্যার ঘটনা। যেন ওড়না ছিঁড়ে লাশ নিচে পড়ে গেছে। রবিবার রাতে (১৫ অক্টোবর) শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক সুরতহালে বিষয়টি সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার শিকার রুনা আক্তারের কয়েক রুম পরই রাশেদ আরেক কক্ষে বাস করত। তাদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
হত্যার শিকার রুনা আক্তার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাছিয়াখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। গ্রামে রুনার আগে বিয়ে হলেও সেই সংসার ভেঙে যায়। সেই ঘরে রুনার ছয় বছরের শিশু সন্তান গ্রামে রেখে তিন মাস আগে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও পোশাক শ্রমিকের চাকরি নেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নোমান সিদ্দিক বলেন, হত্যাকারী খুব চতুর। হত্যার পর সে ওই বাসাতেই বসবাস করছিল। মরদেহের দুর্গন্ধ থেকে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। হত্যার বিষয়টি র্যাবের কাছে রাশেদ স্বীকার করেছেন।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।