বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩০ পিএম
বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মাদক মামলার আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রবা ফটো
বগুড়া বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মাদক মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগে আদালতের তিন কর্মচারীসহ গ্রেপ্তার পাঁচজনকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পরদিন পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি কামরুজ্জামানের একদিন এবং অন্য চার আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া অপর চার আসামি হলেন- বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারীকারক এম এ মাসুদ, উমেদার হারুন অর রশীদ সাজন, বগুড়া জেলা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মান্নান এবং মাদক মামলার আসামি মোক্তার হোসেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ্ বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। মামলার অপর চার আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
প্রায় ৩ বছর আগে মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত বগুড়া সদর থানার একটি মামলায় চলতি বছরের ১৪ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল। ওইদিন শুনানির পর থেকে মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় ছয় মাস পর গত ১৪ অক্টোবর সেই মামলার নথি খুঁজে পাওয়া গেলেও তাতে দেখা যায় ওই মাদক মামলার স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় করা ওই আবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে নথিভুক্ত দেখিয়ে সেই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট র্মিজা শায়লার স্বাক্ষর জাল করে তা মঞ্জুর করে আসামিদের অব্যাহতির আদেশও প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি বিচারক মির্জা শায়লার নজরে আনলে তিনি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন। এরপর বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাকছুদুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৬ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় আদালতের তিন কর্মচারীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় বলা হয়, আদালতের ওই তিন কর্মচারী মাদক মামলার আসামিদের অনুরোধে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য যোগসাজশে জালিয়াতির ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।