× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব

ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫৮ পিএম

বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব

১৯৮০ সালে শুষ্ক মৌসুমে কৃষিজমির সেচ সুবিধার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। সেই জলকপাটে আটকে থাকা পানিতে প্রতি বছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। এ পোনাগুলোর দেখভাল করেন আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে দুই ইউনিয়নের মাঝামাঝি সুক নদীর ওপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ এলাকায় চলে মাছ ধরা উৎসব। ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উৎসবে অংশ নেয়।

মাছ ধরতে আসা মকবুল হোসেন নামে একজন বলেন, ‘সকাল ৬টায় বুড়ির বাঁধে মাছ ধরতে এসেছি। শুধু আমিই না, এলাকার আরও বেশ কয়েকজন এসেছেন। মূলত শখের বশেই প্রতি বছর এখানে আসি।’ শহরের হাজিপাড়া থেকে এসেছেন রাতুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধু মিলে জাল কিনে মাছ ধরতে আসছি। বড় মাছ না পেলেও ছোট মাছ পেয়েছি অনেক। খুব ভালো লাগছে।’

পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় থেকে আসা ওসমান গণি বলেন, ‘বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার কথা অনেক শুনছি। তাই দুই ভাই শখ করে আসছি। এখন পর্যন্ত চার কেজির মতো মাছ ধরছি। বড় রুই হবে দুই কেজি আর ছোট মাছ হবে দুই কেজির মতো।’ তবে আগের মতো আর পাওয়া যায় না বলে জানান নারগুন ইউনিয়নের বসির আহম্মেদ। তিনি বলেন, বাঁধ ছাড়ার আগে ছিপ দিয়ে বড় সব মাছ তুলে ফেলে আশপাশের বাসিন্দারা। তাও বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ প্রতি বছর এখানে মাছ ধরতে আসে। কেউ পায় বেশি, কেউ অল্প। সব মিলিয়ে বুড়ির বাঁধ মাছ ধরার উৎসবে পরিণত হয়।

পরিমল পাল নামে আরেকজন বলেন, ‘এখানে প্রতি বছরই হয় মাছ ধরা উৎসব। বিভিন্ন রকমের জাল, পলো ও মাছ রাখার খালুই নিয়ে গ্রাম ও শহরসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ আসে এখানে। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারা ধরে হাত দিয়ে। এক কথায় বুড়ির বাঁধ এলাকা মিলনমেলায় পরিণত হয়।’

শুধু মাছ ধরতে নয়, কিনতেও আসেন অনেকে। তেমনই একজন আইনুল হক। সকালে দুই কেজি পুঁটি মাছ ৫০০ টাকায় কিনেছেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দুই কেজির রুই মাছ কিনেছেন ৬০০ টাকায়। 

আকচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, ‘প্রত্যেক বছরের কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহে বুড়ির বাঁধের জমানো পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আমাদের ইউপি সদস্যরা বুড়ির বাঁধ এলাকা দেখাশোনা করেন। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ মাছ ধরতে আসে। ছোটবড় সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। একটা উৎসবে পরিণত হয়।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালুদুজ্জামান বলেন, ‘৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর ওপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। এ বছর বিভিন্ন জাতের ৩৭ কেজি মাছের রেণু ছাড়া হয়েছিল। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। আমাদের কর্মকর্তারা সব সময় তদারকি করেন। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা