নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪১ পিএম
নেত্রকোণায় শত্রুতার জেরে খাবারে বিষ প্রয়োগ করে দুই খামারির ১ হাজার ৪০০ হাঁস নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে জেলার মদন উপজেলার শাহাপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দুই খামারি হলেন- বুলবুল ইসলাম ও আরজু মিয়া। তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এক মাস ধরে হাঁসগুলো লালনপালন করে আসছিলেন।
খবর পেয়ে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান সংশ্লিষ্ট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহাপুর গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে নূর আহম্মদ ও একই গ্রামের মৃত রোজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম তাদের হাঁসের খামারে বিষমিশ্রিত খাবার দেন, আর সে খাবার খেয়েই হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় হাওরে আমন ধান আবাদের ফলে তারা নিজ বাড়ির সামনে জালের বেড়া দিয়ে ফাঁকা জায়গায় হাঁসগুলো লালনপালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে একই এলাকার নূর আহম্মদ ও রবিউলের সঙ্গে বুলবুল ইসলামের বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে গতকাল ভোরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হাঁসের খামারে দেন নূর আহম্মদ ও রবিউল। সেই বিষমিশ্রিত খাবার খেয়ে খামারিদের ১ হাজার ৪০০ হাঁস মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আরজু মিয়া বলেন, ‘নূর আহম্মদ ও রবিউল প্রায় সময়ই আমাদের খামারের পাশে মোটরসাইকেল রাখত। কিন্তু আমরা গাড়ি রাখতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খাবারে বিষ দিয়ে আমাদের সব হাঁস মেরে ফেলেছে।’
এদিকে গতকাল সকাল থেকেই পলাতক রয়েছেন নূর আহম্মদ ও রবিউল ইসলাম।
নূর আহম্মদের বোন সুফিয়া আক্তার বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আমার ভাই বাড়িতে নেই। আরজু ও বুলবুলের হাঁস মরে যাওয়ায় তারা আমার ভাইকে দোষারোপ করছে এবং তারা আমাদের মারধরও করতে চাইছে।’
মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাইরান ইকবাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পরীক্ষার জন্য মরা হাঁসের স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।